সময়ের জনমাধ্যম

অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্ব জোরদার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

Last Updated on 9 months by zajira news

নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চলমান অংশীদারত্বে জোর দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ওয়াশিংটন ডি সি থেকে ঢাকায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধিদলকে স্বাগতম জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ মুখ্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেন্ট নাইম্যান, স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু, ইউএসএআইডি-এর এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট অ্যামিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।

বৈঠকে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জনগণের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক সুযোগ, আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

সফরকালে বাংলাদেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া, প্রশাসনকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের এক উন্নয়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে ইউএসএআইডি।

২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে সহায়তার জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নতুন এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতামূলক এবং গণতান্ত্রিক পথে চলতে সহায়তা করবে।

প্রতিনিধি দল রোববার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধিদল সফর শেষ ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া নানা সংস্কার, দেশ পুনর্গঠন, অর্থনৈতিক সংকট নিরসনসহ নানা পদক্ষেপে সব ধরনের সহযোগিতায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। সহায়তা করবে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে। দেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ২০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা চুক্তি সই করেছে। সফররত উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল দ্বিতীয় দিন রোববার দিনভর নানা বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য নতুন প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।