সময়ের জনমাধ্যম

অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গুলি, এখন পর্যন্ত নিহত ১৮

Last Updated on 3 months by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন আজ রোববার (৪ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, মাগুরায় ৩ জন, পাবনায় ২ জন, কুমিল্লায় ১ জন, ভোলায় ৩ জন ও রংপুরে ৩ জনসহ ১৮ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। শহরের সুপার মার্কেট ও কৃষি ব্যাংক মোড় এলাকায় সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষে সাত জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

মাগুড়ায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ দুজন নিহত হয়েছেন। মেহেদী হাসানের বাড়ি পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকায়।আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের পারনানন্দুয়ালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কারের আন্দোলন ১৪ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলন শান্তিপূর্ণই ছিল। আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে ১৫ জুলাই। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশসহ ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় আহত হন তিন শতাধিক। পরের দিন (১৬ জুলাই) ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছয়জনের মৃত্যু হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সহিংসতার তীব্রতা ও ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা। এ দিন মৃত্যু হয় ২১ জনের। সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে ১৯ জুলাই, এ দিন মৃত্যু হয় ৫৮ জনের। এর মধ্যে রাজধানীতেই প্রাণ হারান ৪৯ জন। সূত্র, প্রথম আলো, বণিক বার্তা