Last Updated on 4 hours by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: রাজধানীর আদালত পাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকের সামনে এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বে থাকা মো. তারেক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “দুইজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তবে সেই গুলি গিয়ে লাগে হাসপাতালের জানালার গ্লাসে, তারা আরও পাঁচ রাউন্ড গুলি করেন, এর মধ্যে তিনটা গিয়ে মামুনের শরীরে লাগে।”
আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, মামুন আদালতে এসেছিলেন ২৮ বছর আগের এক মামলায় হাজিরা দিতে, ফেরার পথে গুলিতে নিহত হন তিনি।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান সামী জানান।
মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ১৯৯৭ সালে। ২৫ বছরের যুবক জাহিদ আমিন ওরফে হিমেলকে ১৯৯৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয়। সেদিন হিমেলের বন্ধু সাইদও আহত হয়। এ ঘটনায় হিমেলের মা জাফরুন নাহার সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিক সাইফ মামুনসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অপর আসামিরা হলেন-ওসমান, মাসুদ ওরফে নাজমুল হোসেন, রতন, ইমন এবং হেলাল।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমিনুন নেসার আদালতে এদিন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক ছিল। আদালতে হাজিরা দেন মামুন। তবে কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য আদালত আগামি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করে।
ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, ১০টা ৫১ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে তিনি বের হচ্ছিলেন। প্রধান ফটক পার হয়ে একটু সামনে রাস্তায় গেলে দৌড় দিয়ে আবার হাসপাতালের ভেকরে ঢুকে পড়েন। তখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকেও ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
হাসপাতালের নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বে থাকা মো. তারেক মামুনের গায়ে তিনটি গুলি লাগার কথা জানিয়ে বলেন, “তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। শুনেছি তিনি মারা গেছেন।
“শুনেছি যে লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে তার কাছে একজন ভিক্ষুক খাবারের জন্য টাকা ভিক্ষা চেয়েছিলেন। সেই টাকা দিতে নাকি তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, তিনি গাড়ি পার্কিং করতে এসেছিলেন।” যোগাযোগ করা হলে মামুনের আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, তিনি (মামুন) আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
আদাতলপাড়ার ঘটনার পর ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, ফুলহাতা টিশার্ট পরিহিত মামুন দৌড়ে এসে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকের সামনে দিয়ে প্রবেশ করেন এবং মাস্কে মুখ ঢাকা এবং ক্যাপ পরা দুই যুবক পেছন পেছন এসে পিস্তল দিয়ে গুলি করে চলে যায়।


