সময়ের জনমাধ্যম

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ফাটল, আতঙ্কে নভোচারীরা

Last Updated on 2 weeks by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বিপদের মুখে পড়েছে , বেশ কয়েকটি বড় ফাটল দেখা দিয়েছে সেখানে। স্পেস ডট কমের তথ্য বলছে, জায়রা মডিউলে দেখা গেছে এ ফাটল।

রাশিয়ার হিউমেন স্পেস ফ্লাইট প্রোগ্রামের প্রকৌশলী ভ্লাদিমির সলভিয়ভ জানান, আরও বিপজ্জনক পর্যায়ে যেতে পারে এই ফাটলগুলো। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের রাশিয়ার অংশে দেখা গেছে এ ফাটল। আতঙ্কে পড়ে গেছেন ভেতরে থাকা নভোচারীরা।

তড়িঘড়ি করে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ফাটলগুলো আরও বড় হতে পারে। ছড়িয়ে পড়তে পারে মহাকাশ স্টেশনের অন্য স্থানেও। এমনকি সেই সব জায়গার বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে পারে মহাকাশেই, যা মহাকাশে আবর্জনা হয়ে, বিপদ ঘটাতে পারে; বহু মহাকাশযান ও পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য বহু উপগ্রহেরও।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, ওই সব ফাটল দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক রশ্মি এবং মহাজাগতিক বিকিরণ ঢুকে গেলেই বিপদ। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে থাকা মহাকাশ স্টেশনে আছেন ১১ জন মহাকাশচারী। আছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, রাশিয়ার ‘রসকসমস’, জাপানের ‘জাক্সা’ ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা) মহাকাশচারীরা।

জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মোট ১১ জন নভোচারী আছেন। কয়েকদিন আগেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা দাবি করেছিল, বর্তমানে বেশি সংখ্যক মহাকাশচারী আছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মহাকাশচারীরা এই স্টেশনেই থাকেন।

১৯৯৮ সাল থেকে মহাকাশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আইএসএস। এর আগেও স্টেশনটিতে ফাটল ধরা পড়েছে। ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে নভোচারীদের নিয়ে ঘুরছে কৃত্রিম এই উপগ্রহ। এর আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার অন্য মডিউলে ফাটল ধরা পড়ে। নাসার বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছিলেন, রুশ স্পেস ক্রাফট সয়ুজ থেকেই এ ফাটল হয়েছিল। তবে এবারের ফাটল কি থেকে হয়েছে, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় নাসা।

তবে চলতি বছরের জুলাইতে রাশিয়ার নাউকা সায়েন্স মডিউল আইএসএস’ এ যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মডিউলটি স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ডকিংটাও নির্বিঘ্নে করানো সম্ভব হয়নি। পুরো স্টেশনটিকেই ঘুরতে হয়েছিল সে সময়। পরে আইএসএস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েক দিন আগেই নাসা ঘোষণা দেয় ২০২৪ সালের পর মহাকাশে আর কাজ করবে না আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ধীরে ধীরে কমছে এই স্পেস স্টেশনের সক্ষমতা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্পেশন তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান আর কানাডা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পরিচালনা করতে নাসার প্রতি বছর ৪০০ কোটি ডলার খরচ হয়। রাশিয়ার স্পেস এজেন্সি রসমসকস জানায়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের সঙ্গে থাকবে।