Last Updated on 1 month by zajira news
ফরিদপুর প্রতিনিধি, জাজিরা নিউজ: ফরিদপুরে সংসদীয় আসন সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে আন্দোলনরতরা ভাঙ্গা থানায় ঢুকে গাড়ি ভাঙচুর এবং উপজেলা পরিষদে আগুন দিয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে প্রশাসনের জোর নিরাপত্তার মধ্যেই আন্দোলনকারীরা এ ঘটনা ঘটান।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমরা পাশে আছি। কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রতিরোধ করা হবে।”
গত ৪ অগাস্ট নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসে ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে পাশের ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়।
এর প্রতিবাদে গত ৫ দিনে তিন দফায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক এবং রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে স্থানীয়রা।
এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। সবশেষ রোববারও সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
ভাঙ্গায় চলমান বিক্ষোভ-অবরোধকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের ঘটনায় রোববার রাতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে এ মামলা করেন। এতে আন্দোলন ঘিরে গঠিত ‘সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের’ প্রধান সমন্বয়ক ভাঙ্গার আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোমবার সকালে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুটি স্থানে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের এই আন্দোলন পুরো ভাঙ্গা উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতোদিন এ উপজেলার আলগী ও হামেরদীবাসী আন্দোলন করলেও সোমবার অন্যান্য ইউনিয়নের লোকজনও যোগ দেয়।
বেলা ১১টার দিকে হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল নিয়ে এসে থেকে ভাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। তাদের তোপের মুখে পিছু হটে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ায় পুলিশ।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা ভাঙ্গা থানার অন্তত পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং হামলাকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।