Last Updated on 6 months by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস । এর ফলে তাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে হবে প্রেসিডেন্টকে। যার ফলে আগামী বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে আগাম নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হলো।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়চে ভেলে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলেছে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন দেশটির বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা। এর ফলে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইউরোপের বড় অর্থনীতির দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে ৭১৭ জন তাদের মতামত প্রদান করেন। এরমধ্যে বর্তমান চ্যান্সেলরের বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩৯৪টি, আর ওলাফ শলৎসের পক্ষে ভোট দেন ২০৭ জন। ভোটদানে বিরত ছিলেন ১১৬ জন।
এর আগে ইউরোপের এই দেশটির অর্থনীতি ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্কের জেরে জোট সরকারের ভাঙ্গন দেখা দিলে অনাস্থা ভোটের আহ্বান জানিয়েছিলেন শলৎস। অবশ্য শলৎসের ওপর সংসদ সদস্যরা যে আস্থা রাখবেন না সেটি আগে থেকেই অনেকটা অনুমেয় ছিল।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে ২১ দিন সময় পাবেন তিনি। অবশ্য ইতোমধ্যেই আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনায় সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জোটের শরিক গ্রিন পার্টি অব জার্মানির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল শলৎসের নেতৃত্বাধীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত ৭ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী ও গ্রিন পার্টির নেতা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে পদচ্যুত করেন শলৎস।
মূলত বাজেট নীতি ও জার্মানির অর্থনীতির গতিমুখ নিয়ে জোট সরকারের তিন শরিকের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে যে বিবাদ চলছে, তার জেরেই লিন্ডনারকে মন্ত্রিসভা অব্যাহতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শলৎসের সেই পদক্ষেপের জেরে জোট শরিকদের ঐক্যে বড় আঘাত আসে এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারেরও বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়।আর এবার পার্লামেন্টেও আস্থা ভোটে হেরে গেলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসেন জার্মানির রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেতা শোলৎজ। নির্বাচনে জয়ে পর ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং গ্রিন পার্টি অব জার্মানি, দুই দলকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদলীয় জোট সরকার গঠন করেন তিনি।