সময়ের জনমাধ্যম

ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “সাইবার স্টকিং” কী? জানুন এবং সতর্ক থাকুন

ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে "সাইবার স্টকিং" কী? জানুন এবং সতর্ক থাকুন

Last Updated on 9 months by admin

প্রযুক্তি ডেস্ক: সাইবার স্টকিং মানে হলো সোশ্যাল মিডিয়া, ই-মেল বা টেক্সট মেসেজিংয়ের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে স্টক করা। ধরুন ফেসবুকে একটা সেলফি পোস্ট করেছেন। অজানা বন্ধুর থেকে মেসেজ এলো, লাল কালো শার্টটা দারুণ হয়েছে, আপনিও মনে মনে খুশি হলেন, কিন্তু পরের যখন মেসেজেই লেখা, রকি পার্কে কী করছ? তখনই কি অবাক হওয়ার পালা নয় ?

কেননা সেলফিতে তো আপনি কোথায় আছেন তা একবারও কোথায় বলেননি। যে আপনাকে মেসেজ পাঠিয়েছে তার সঙ্গেও আপনার কোনো দিন দেখা হয়নি। তাহলে আপনি কোথায় আছেন কী করে জানতে পারলো ফেসবুকের অজানা বন্ধুটি? তাহলে কী ফেসবুকের ওই বন্ধু আপনাকে ফলো করছে? আপনি কোথায় আছেন তাও তিনি জানে যাচ্ছেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে?

ব্যস্ত সময়ে ভার্চ্যুয়াল সম্পর্কই এখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ে । সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ (ফেসবুক) বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বাড়ছে বন্ধুর সংখ্যা। বাড়ছে বিপদও। এই ফেসবুক কাজে লাগিয়ে আপনার গোপন নজরদারি চালানোর প্রযুক্তি বের করে ফেলেছে আপনারই অচেনা বন্ধুটি।

ফেসবুকে নজরদারি চালানোর এ ঘটনাকেই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাইবার স্টকিং।

সাইবার স্টকিং কী? সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নয়া প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আপনার পিছু নিতে পারে ফেসবুক হ্যাকাররা।

ফেসবুকে ভিউ টু অল অপশন অবিলম্বে বন্ধ করুন।

সাইবার স্টকিং অপরাধ। আইপিসি ৩৫৪ ডি ধারায় সাইবার স্টকিং বা পিছু নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রামে মেয়েদের প্রোফাইলে অযাচিত কমেন্ট করাও এই আইনের আওতায় পড়ে।

কী করবেন? স্থানীয় থানায় সাইবার পুলিশ স্টেশনে ফোন করুন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। তাই চোখ ও কান খোলা রাখুন। অপরিচিত কেউ ফ্রেন্ডশিপ রিকোয়েস্ট পাঠালেই অ্যকসেপ্ট করবেন না। সাইবার স্টকিংয়ে শিকার হওয়া থেকে সর্বদা সতর্ক থাকুন।