Last Updated on 1 week by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ইসরায়েলের হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির সরকারের প্রধান ও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হয়েছেন বলে হুতিদের পরিচালিত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
হুতি নেতা মাহদি আল-মাশাতের দেওয়া বিবৃতি উদ্ধৃত করে শনিবার (৩০ আগষ্ট) বার্তা সংস্থা সাবা এ খবর জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সানার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ইসরায়েল জানায়, জ্যেষ্ঠ হুতি নেতাদের হত্যা করতেই হামলাটি চালানো হয়।
এর পরদিন শুক্রবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মুহাম্মদ আব্দুল করিম আল-গামারি জানান, ইসরায়েলিরা সানার বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্যস্থল করেছে। বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে এই হামলার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে বলে প্রত্যয় জানিয়েছেন আল-গামারি।
এরপর শনিবার এক বিবৃতিতে আল-মাশাত বলেন, “আমরা তার কয়েকজন সহকর্মী মন্ত্রীর সঙ্গে যোদ্ধা আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাউইয়ের শাহাদাত ঘোষণা করছি। তারা বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি অপরাধী শত্রুর লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছিল।”
আল-রাহাউই ২০২৪ এর অগাস্ট থেকে ইয়েমেনের হুতি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম ও তৎপরতার মূল্যায়ন করতে সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত একটি নিয়মিত কর্মশালা চলাকালে আল-রাহাউই ও তার সরকারের অন্যান্য সদস্যরা ইসরায়েলি হামলার শিকার হন।
টাইমস অব ইসরায়েল চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনের বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মূল্যায়ন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীসহ হুতি মন্ত্রিসভার অন্য ১২ জন মন্ত্রী বৃহস্পতিবারের এ হামলায় নিহত হয়েছেন।
চ্যানেল ১২ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ওই মূল্যায়নের বিষয়ে আইডিএফ পুরোপুরি নিশ্চিত নয় এবং হামলার ফলাফল পরিষ্কারভাবে বুঝতে তারা এখনও কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল তাদের থেকে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতিদের ওপর ১৬তম বারের মতো হামলা চালায়। ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা ২০১৪ সাল থেকে দেশটির রাজধানী সানাসহ অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সরকার পরিচালনা করে আসছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ঘোষণা করে ইসরায়েলে ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে।