সময়ের জনমাধ্যম

ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা

Last Updated on 1 year by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে চলেছে—এমন উদ্বেগের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে বোমার একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

জাহাজ মারফত পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে ছিল ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড (৯০৭ কিলোগ্রাম) ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা। যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া পার্টনার সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানান ওই মার্কিন কর্মকর্তা।

ঐ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাফাহতে বেসামরিক লোকজনের মানবিক সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ‘পুরোপুরি আমলে’ নেয়নি ইসরায়েল।

এ ব্যাপারে কোন তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। গতকাল ট্যাংক নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী মিশরের সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই গাজা উপত্যকায় আরো বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

এপ্রিল মাস থেকে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করার পর হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “আলোচনায় আমাদের উদ্বেগকে পুরোপুরি বিবেচনায় না নিয়ে রাফাহতে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলি নেতাদের সিদ্ধান্তমূলক অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তাই ইসরায়েলে প্রস্তাবিত অস্ত্রের চালান পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা শুরু করি আমরা।”

ঐ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরেই গত সপ্তাহে বোমার চালান স্থগিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। চালানটি পরবর্তীতে পাঠানো হবে কিনা সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে ঐ কর্মকর্তা।

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ফিলিস্তিনিরা রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার ইসরায়েল মিশরীয় সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর কিছু অংশ খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল। গাজার প্রায় ২.৩ মিলিয়ন বাসিন্দা শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে রাফাহতে অবস্থান করছিলেন। এর আগে সোমবার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে রাজি হয় হামাস। যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করছে মিশর ও ইরান।

কিন্তু ইসরায়েল জানিয়েছে, শর্তগুলো তাদের দাবি পূরণ করেনি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালানোর মাঝেই দেশটির সামরিক বাহিনী রাফাহতে হামলা চালিয়েছে।