সময়ের জনমাধ্যম

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল

ছবি: জাজিরা নিউজ

Last Updated on 1 year by zajira news

কক্সবাজার প্রতিনিধি, জাজিরা নিউজ:পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের টানা ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন । ঈদের দিন তুলনামূলকভাবে পর্যটক কম হলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ নানা সব বয়সী পর্যটক এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জড়ো হয়ে মেতেছেন ঈদের আনন্দে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সৈকত ঘুরে দেখা যায, সারা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা সাগরের নেমেছে নোনাজলে গোসল করতে। আবার কেউ কেউ নেমেছে ওয়াটার বাইক নিয়ে ।

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান ধারনা করেন, ঈদ এবং বৈশাখের ছুটিতে কক্সবাজারে ৫ লাখের অধিক পর্যটকের সমাগম হবে।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সমিতির অন্তর্ভুক্ত সকল হোটেলের রুম শতভাগ বুকিং। অনেক পর্যটক রুম চাইলেও দিতে পারছি না। পর্যটক আরও বাড়বে। কারণ একদিন পর পহেলা বৈশাখ। ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে আমরা কয়েকশ কোটি টাকার ব্যবসার আশা করছি।

দীর্ঘ একমাস পর্যটনে ভাটা পড়ার পর অবশেষে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।

দেশের বেশিরভাগ মানুষ বেড়ানোর জায়গা হিসেবে কক্সবাজারে সমুদ্রসৈকতকে বেছে নিয়ে থাকেন। বিশেষ দিন ও টানা ছুটিতে এখানে পাহাড়-সমুদ্র, নদী ও ঝরনা দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমে। প্রতিবছরের মতো এবারও দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজারে ছুটে গিয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

এর আগে ঈদকে সামনে রেখে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রমজান মাসজুড়ে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টগুলো নান্দনিক সাজে সজ্জিত করা হয়। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের দিন থেকে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁর পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানপাটও খুলেছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, সকাল থেকে আমরা মাঠে আছি। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। এখনো পর্যটকদের খাবার নিয়ে অভিযোগ ওঠেনি। আমরা সব সময়ই মাঠে আছি।