সময়ের জনমাধ্যম

এক্স (সাবেক টুইটার) বিভ্রাটে সাইবার হামলাকে দুষলেন মাস্ক

Last Updated on 19 hours by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) গতকাল সোমবার (১০ মার্চ ) বড় ধরনের বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল।

এক্সের হাজারো আমেরিকান ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটি অ্যাকসেস করতে পারছিলেন না। মাস্ক এই বিভ্রাটের জন্য শক্তিশালী সাইবার হামলাকে দায়ী করলেন ।

এক বিবৃতিতে মাস্ক বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আক্রমণের শিকার হই। তবে এই আক্রমণ অনেক বেশি ‘সম্পদ’ ব্যবহার করে করা হয়েছে। এটা সম্ভবত একটি বৃহৎ সমন্বিত দল বা কোনো দেশ এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

তবে, তিনি ‘অনেক সম্পদ’ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এ রকম হামলার পেছনে অনেক সময় ছোট দল বা একক ব্যক্তি থাকলেও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মাস্কের বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিনায়াল অব সার্ভিস (ডিওএস) আক্রমণ সাধারণত খুব বেশি জটিল হয় না। তবে এটি বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে সক্ষম।

ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের বিভ্রাট সম্পর্কিত তথ্য প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ৩৯ হাজার ২১ জন ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। বিকেল ৫টার দিকে সেই সংখ্যা কমে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫ জনে।

ডিনায়াল অব সার্ভিস বা ডিওএস আক্রমণ এমনভাবে কাজ করে যে, একটি ওয়েবসাইটের ওপর অত্যধিক ট্র্যাফিক পাঠানো হয়, যা সাইটটিকে অচল করে দেয়। এ রকম আক্রমণ সাধারণত খুব বেশি জটিল না হলেও তা বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। ডিনায়াল অব সার্ভিস আক্রমণগুলো ট্রেস করা বেশ কঠিন এবং এতে ব্যবহৃত আইপি ঠিকানাগুলো সাধারণত আক্রমণের উৎস চিহ্নিত করতে তেমন সাহায্য করে না।

এদিকে ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের ল্যারি কাডলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, এই সাইবার আক্রমণ মূলত ইউক্রেন অঞ্চলের আইপি ঠিকানাগুলো থেকে এসেছে। তবে, ইন্টারনেট অবকাঠামোসংক্রান্ত একটি সূত্র জানায়, এক্স প্ল্যাটফর্মে আসা বিপুল পরিমাণ অবৈধ ট্র্যাফিকের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, ব্রাজিল এবং অন্যান্য দেশের আইডি ঠিকানা থেকে এসেছে এবং ইউক্রেন থেকে আসা ট্র্যাফিকের পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য ছিল।

এদিকে মাস্ক আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন যদি তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট যোগাযোগসেবা না পেত, তাহলে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন ‘ধসে পড়ত’। তবে তিনি বলেন, তিনি ইউক্রেনের স্টারলিংক-সেবা বন্ধ করবেন না।