সময়ের জনমাধ্যম

এমি মার্টিনেজের বীরত্বে কোপার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

Last Updated on 3 months by zajira news

স্পোর্টস ফুটবল, জাজিরা নিউজ: শেষ চারে ওঠার মিশনে নিশ্চিতভাবে ফেভারিট আর্জেন্টিনা। চলমান ফর্মে রীতিমতো উড়ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু কে জানতো! ইকুয়েডরের বিপক্ষেই এমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে ? আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জমে ওঠে আর্জেন্টিনার লড়াই।

ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। সেখানেও লিওনেল মেসির গোল মিস হতাশায় ডোবায় আর্জেন্টিনাকে। তবে বাকিদের সফল স্পট কিক ও এমি মার্টিনেজের জাদুকরি হাতের ছোঁয়ায় টাইব্রেকার পরীক্ষায় উতরে যায় আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে লিওনেল স্কালোনির দল।

কোপা আমেরিকায় ফাইনাল ছাড়া নকআউট পর্বের কোনো ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় নেই। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর্জেন্টিনার হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করেন লিওনেল মেসি। ‘পানেনকা’ শট নিয়ে বল ক্রসবারে মারেন তিনি। হতাশ মেসিকে এসে জড়িয়ে ধরেন ইকুয়েডর গোলকিপার আলেক্সান্দার ডমিনিগুয়েজ।

আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ অবশ্য ‘চাপ’ দীর্ঘায়িত হতে দেননি। ইকুয়েডরের প্রথম শটটি ঠেকিয়ে দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় শটটিও ঠেকিয়ে টাইব্রেকারে আবারও ‘অতিমানব’ হয়ে ওঠেন মার্তিনেজ। ইকুয়েডরের হয়ে প্রথম দুটি শট নেওয়া অ্যাঞ্জেল মেনা ও অ্যালান মিন্দার শট ঠেকান মার্তিনেজ।

এর আগে, ম্যাচের ১৫তম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনাকে বাঁচান ওই মার্তিনেজই। বক্সের ডান দিয়ে আক্রমণে উঠলেও তাঁকে পরাস্ত করতে পারেননি ইকুয়েডরের কেন্দ্রি পায়েস। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এসে প্রথমবার বড় সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তেরা। ডান প্রান্ত থেকে নাহুয়েল মলিনার ক্রস করা বলে এনজো ফার্নান্দেজের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

৬ মিনিট পরেই মেসির পাস থেকে বল পেয়ে অনেকটা দৌড়ে শট নেন এনজো। কিন্তু তাঁর শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। এরপরই অবশ্য আর্জেন্টিনা কর্নার পায়। মেসির কর্নার থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার হেড করলে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো লিসান্দ্রো মার্তিনেজ হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সুযোগ পেয়ে ফার্নান্দেজ ক্রস করলেও তাতে পা লাগাতে পারেননি লাওতারো মার্তিনেস। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মেসির দল।

দ্বিতীয়ার্ধে বল দখল এবং আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করেছে ইকুয়েডর। একের পর এক আক্রমণে আর্জেন্টিনাকে খানিকটা কোণঠাসাই করে ফেলে ফেলিক্স সানচেজের দল। ম্যাচের ৬০ মিনিটে কর্নার ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করেন ডি পল। তবে পেনাল্টি পেলেও এনার ভ্যালেন্সিয়ার শট বাম পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বক্সে দি পলের ক্রসে প্রথমবার গোলের সুযোগ পান মেসি। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট সহজেই ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডর গোলকিপার দমিঙ্গেস।

মেসির পর আর্জেন্টিনার আর কেউ পেনাল্টি মিস না করলে শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা। অন্য কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ভেনেজুয়েলা ও কানাডার মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মাঠে নামবে লিওনেল স্কালোনির দল।