সময়ের জনমাধ্যম

এরা কোটিপতি হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনটেন্ট বানিয়েই

খাবি লেইম, একটা শব্দও উচ্চারণ না করেই কনটেন্ট বানিয়ে হয়েছেন মিলিয়নেয়ার

Last Updated on 1 month by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট বানানো এখন আর কোনো শখ বা বাড়তি আয়ের সুযোগ নয়, এটি অনেকের জন্য পরিণত হয়েছে একটি লাভজনক ক্যারিয়ারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্টারস ইনসাইডার’ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সৃজনশীলতার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করার পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন সে অর্থ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার পথেও এগিয়ে যাচ্ছেন বলে। বিনোদনের সীমানা ছাড়িয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েশন আজ এক বিশাল ব্যবসায় রূপ নিয়েছে।

দেখা যাক কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সবচেয়ে বেশি আয় করছেন কারা-

নিনজা
বিশ্বখ্যাত গেইমার নিনজা দুই দশমিক তিন কোটি ফলোয়ার নিয়ে অনলাইন গেইমিং জগতে দাপট দেখাচ্ছেন। ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ, সহযোগিতা এবং নিজের ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে তার ব্যক্তিগত সম্পদ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি ডলার।

ধার মান
বুলিয়িং, বর্ণবাদ ও বৈষম্য নিয়ে ভিডিও তৈরি করে জনপ্রিয় হয়েছেন ধার মান। তার অনুসারী প্রায় ১২ কোটি এবং ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা আড়াই কোটি। ভিডিও ছাড়াও তিনি ‘ফিফথ কোয়ার্টার এজেন্সি’ নামের একটি ক্রিয়েটর এজেন্সি এবং ‘লাইভগ্ল্যাম’ নামের একটি বিউটি ব্র্যান্ড পরিচালনা করেন। তার বার্ষিক আয় প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলার।

চার্লি ডি আমেলিও
বিখ্যাত ব্র্যান্ড যেমন গার্নিয়ার ও সেরাভের সঙ্গে কাজ করেছেন চার্লি ডি আমেলিও। এমনকি তিনি ব্রডওয়ের মিউজিক্যাল ‘অ্যান্ড জুলিয়েট’-এও অংশ নিয়েছেন। তার মোট আয় বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলার বলে ধারণা করা হয়।

ম্যাট রাইফ
স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান ম্যাট রাইফ তার তীক্ষ্ণ রসবোধ দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার অনুসারী সংখ্যা তিন দশমিক তিন কোটির বেশি। তিনি নেটফ্লিক্স স্পেশাল ‘ম্যাট রাইফ: ন্যাচরাল সিলেকশন’ এবং ‘ম্যাট রাইফ: লুসিড এ ক্রাউডওয়ার্ক স্পেশাল’-এ অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রকাশ করেছেন আত্মজীবনীমূলক বই ‘ইওর মম’স গনা লাভ মি’। তার বার্ষিক আয় প্রায় পাঁচ কোটি ডলার।

মার্ক রবার
সাবেক নাসা ইঞ্জিনিয়ার মার্ক রবার বিজ্ঞানের প্রতি কৌতূহল বাড়াতে সৃজনশীল ভিডিও তৈরি করেন। তার ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ছয় দশমিক ছয় কোটি এবং বার্ষিক আয় প্রায় আড়াই কোটি ডলার।

রায়ান কাজি
মাত্র ১৩ বছর বয়সী রায়ান কাজি তার ইউটিউব চ্যানেল ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’ দিয়ে শিশুদের জন্য বিনোদন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার তিন কোটি ৯০ লাখ সাবস্ক্রাইবার এবং নিকলোডিয়ন, ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। রায়ানের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ডলার।

পল ব্রাদার্স
প্র্যাংক, ভ্লগ আর বিতর্কের জন্য পরিচিত হলেও জেক ও লোগান পল কনটেন্ট ক্রিয়েশনকে কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্যে পরিণত করেছেন। একসঙ্গে তাদের অনুসারী সংখ্যা ১০ কোটির বেশি। ডব্লিউডব্লিউইর সঙ্গে মিলিয়ন ডলারের চুক্তি, পোশাক ও পানীয় ব্র্যান্ড এবং অন্যান্য সহযোগিতায় তাদের সম্পদের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২৫ কোটি ডলার।

পিউডাইপাই
সামাজিক মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারী পাওয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন পিউডাইপাই। ২০১০-এর দশকের শুরুতে গেইমিং ভিডিও, কমিক স্কেচ ও রিঅ্যাকশন ভিডিওর মাধ্যমে খ্যাতি পান। ব্র্যান্ড ডিল, মার্চেন্ডাইজ ও বইয়ের চুক্তি মিলিয়ে তার সম্পদ এখন পাঁচ কোটি ডলারের বেশি।

মার্ক ফিশবাখ
ইউটিউব ভিডিও দিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি পরিচালক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে কাজ করছেন। তার মানবিক কর্মকাণ্ডও উল্লেখযোগ্য লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছেন। মার্কিপ্লায়ারের সম্পদ প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলার।

এমা চেম্বারলেইন
তার অনন্য ভ্লগিং ও এডিটিং স্টাইল কনটেন্ট ক্রিয়েশনে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এক দশমিক দুই কোটি ফলোয়ারের এই তারকা লুই ভুইতোঁ, ল্যানকম, লেভিস, ও কাঁতিয়ের মতো ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর। এমনকি ভোগ এর হয়ে মেট গালার লালগালিচায়ও উপস্থাপনা করেছেন। তার সম্পদ প্রায় দুই কোটি ডলার।

মার্কেস ব্রাউনলি
প্রযুক্তি পণ্যের সৎ রিভিউয়ের জন্য জনপ্রিয় মার্কেস ব্রাউনলি ইউটিউবে ২ কোটি সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছেন। নিজের ব্র্যান্ড এমকেবিএইচডি বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বোর্ড মেম্বার হিসেবে কাজ মিলিয়ে তার সম্পদ প্রায় এক কোটি ডলার।

রেট অ্যান্ড লিংক
‘গুড মিথিক্যাল মর্নিং’ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য পরিচিত এই জুটি প্রায় দুই কোটি অনুসারী পেয়েছেন। তারা অদ্ভুত খাবার চেখে দেখা, কৌতুক, গান আর সৃজনশীল পরীক্ষার মাধ্যমে দর্শকদের বিনোদন দেন। নিজেদের কোম্পানি ‘মিথিক্যাল এন্টাটেইনমেন্ট’ এর মাধ্যমে একাধিক প্রজেক্ট করেছেন। তাদের সম্পদ প্রায় তিন দশমিক দুই কোটি ডলার।

মিস্টার বিস্ট
অনুসারীর সংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন মিস্টার বিস্ট। তার অনুসারীর সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি এবং ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৩৮ কোটি। ‘স্কুইড গেইম’ সাজানো থেকে শুরু করে সমুদ্রে ভেলায় বেঁচে থাকার মতো কনটেন্ট তৈরি করে প্রতিটি ভিডিওতে প্রায় ১০ কোটি ভিউ পান তিনি। কনটেন্ট ক্রিয়েশন, পোশাক ব্র্যান্ড এবং তার স্ন্যাকস ও চকলেট ব্র্যান্ড ‘ফিস্টেবলস’ থেকে তার বার্ষিক আয় ৬০ কোটি ডলারেরও বেশি।

খাবি লামে
টিকটকের সবচেয়ে বেশি অনুসারী পাওয়া ক্রিয়েটর খাবি লামের ১৬ কোটি ২০ লাখ কোটি ফলোয়ার। তার নিঃশব্দ প্রতিক্রিয়ার ভিডিও ও মিম বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। হুগো বস, সনি পিকচার্স, ওয়ালমার্ট ও ফোর্টনাইটসহ একাধিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে তার অংশীদারিত্ব রয়েছে। মোট সম্পদ প্রায় দুই কোটি ডলার।

Reendex

Must see news