Last Updated on 1 week by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির আকাশে যাত্রাবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৫৫ জনকে শনাক্ত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
গত বুধবার স্থানীয় সময় রাতে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সঙ্গে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর দু’টি আকাশযানই বিধ্বস্ত হয়ে নগরীর ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পোটোম্যাক নদীতে পড়ে।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) পোটোম্যাক নদী থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের আকাশযানগুলোর ধ্বংসাবশেষ তুলে আনা শুরু করার কথা ছিল। এক কাজে সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কর্মকর্তা কর্নেল ফ্রান্সিস পেরা বলেন, “ধ্বংসাবশেষ বিস্তৃত একটি এলাকায় ছড়িয়ে আছে। এর কোথায় কী আছে তা নিশ্চিত হতে আমরা পৃথক কৌশল প্রয়োগ করছি।” তিনি জানান, এই অভিযান চলাকালে মানবদেহের কোনো অবশেষ যদি পাওয়া যায় তাহলে কাজ স্থগিত রাখা হবে।
নদী থেকে উদ্ধার করা ধ্বংসাবশেষ ওয়াশিংটন রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের একটি হ্যাঙ্গারে রাখা হবে। পোটোম্যাক নদীর যে অংশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে তার আশেপাশের অংশসহ বড় একটি এলাকায় অনুমোদিত জলযান ছাড়া অন্যগুলোর প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিগ্যান বিমানবন্দরের কম ব্যবহৃত দু’টি রানওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ডের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার শিকার হওয়া সিআরজে-৭০০ উড়োজাহাজটি ৩২৫ ফুট দীর্ঘ ছিল বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে ২৫ ফুট কমবেশি হতে পারে। উড়োজাহাজটির ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এর দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিস্তারিত নতুন যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটির সমুদ্র সীমা থেকে ২০০ ফুট উচ্চতার মধ্য দিয়ে ওড়ার কথা থাকলেও দুর্ঘটনা ঘটার সময় সেটি আরও অনেক উঁচু দিয়ে উড়ছিল। পাওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দুর্ঘটনা ঘটার দুই মিনিট আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার হেলিকপ্টারটিকে সিআরজে-৭০০ উড়োজাহাজটির উপস্থিতির কথা জানিয়ে সতর্ক করেছিল।
দুই আকাশযানের সংঘর্ষের এক সেকেন্ড আগে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের এক ক্রু একটি ‘মৌখিক প্রতিক্রিয়া’ জানিয়েছিলেন বলে উড়োজাহাজটির ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লাইটের তথ্য দেখাচ্ছে দুর্ঘটনার ঠিক আগে উড়োজাহাজটির ‘নাক’ উপরে উঠতে শুরু করেছিল।