সময়ের জনমাধ্যম

গাজার জনগোষ্ঠী ভয়াবহ ক্ষুধার মুখে : যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

Last Updated on 1 year by admin

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের সব মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । এমন পরিস্থিতিতে এসব মানুষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি, খবর বিবিসি।

গাজার ২০ লাখ মানুষ ‘মারাত্মক পর্যায়ের ভয়াবহ খাদ্য অনিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে’ বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ব্লিনকেন ফিলিপিন্স সফরকালে ঐ সতর্কবার্তা দেন।

এছাড়া জাতিসংঘ সংস্থাগুলোও বলছে, যুদ্ধ যদি না থামে এবং ত্রাণ সরবরাহ না বাড়ে তাহলে উত্তর গাজা আগামী মে মাসের মধ্যেই দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে। এদিকে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সেখানকার কৃষিজমি ও খাদ্য অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য সরবরাহ ট্রাক ঘিরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত তদারকির কারণে ত্রাণসাহায্য মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না বলে জানিয়েছে সাহায্য সংস্থাগুলো। জাতিসংঘ সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধ যদি না থামে এবং ত্রাণ সরবরাহ না বাড়ে তাহলে উত্তর গাজা আগামী মে মাসের মধ্যেই দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে।

দাতব্য সংস্থা পভার্টি চ্যারিটি কেয়ারের তথ্যমতে, সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে উত্তর গাজায় অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের ২৩ জনই শিশু। গাজার হাসপাতালগুলো অনাহারে, অপুষ্টিতে থাকা শিশু দিয়ে ভরে উঠছে। গাজার রাফাহ নগরীর আল-আওদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত সপ্তাহে রয়টার্সের সাংবাদিকরা মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার ১০ শিশুকে দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। পবিত্র রামজান মাসের শুরু থেকেই গাজার বাসিন্দারা মুখোমুখি হয়েছে নিষ্ঠুর বাস্তবতার। যে রমজান মাসে মুসলমানরা সারা দিন খাবার না খেয়ে রোজা রাখে, সেটিই এখন গাজাবাসীর সামনে দুর্ভিক্ষ হয়ে এসেছে।

বিশ্বে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দানকারী সংস্থা ‘দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন’ (আইপিসি) বলছে, গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যেই অনাহারে আছে। বাকি যারা আছে, তারাও জুলাই মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। খাবারের সংকট সবচেয়ে বেশি গাজার উত্তরাঞ্চলে।

তিনটি জাতিসংঘ সংস্থা এবং কয়েকটি ত্রাণ সংগঠন নিয়ে গঠিত আইপিসি গত সোমবার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বলেছে, আশু ব্যবস্থা নেওয়া না হলে উত্তর গাজায় এখন থেকে আগামী মে মাসের মধ্যেই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। ঐ অঞ্চলে লড়াইয়ের মধ্যে আটকা পড়ে আছে ৩ লাখ মানুষ।