Last Updated on 6 days by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: হামাস-ইসরায়েল শান্তি পরিকল্পনা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৪ অক্টোম্বর) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
চুক্তির নথিতে ট্রাম্প ছাড়াও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিসহ আরও কয়েকজন বিশ্বনেতা স্বাক্ষর করেছেন।
মিসরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে এই শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রায় ৩৫ জন বিশ্বনেতা অংশ নেন। গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি সইয়ের পর ট্রাম্প বলেন, আজ আমরা শুধু এক যুদ্ধের অবসান ঘটালাম না, মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করলাম। এটি সবচেয়ে বড় চুক্তি, যা শান্তির নতুন ভোর এনে দেবে।
তাৎক্ষণিকভাবে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, এই চুক্তি টিকে থাকবেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত দেশগুলোর নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে প্রথম সারিতে বসা ও আমার পেছনে দাঁড়ানো সবাইকে অভিনন্দন জানাতে চাই। ট্রাম্প বিশেষভাবে মিসর, পাকিস্তান, হাঙ্গেরি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, গাজার মানুষের জন্য এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। তিনি জানান, বহু ধনী ও প্রভাবশালী দেশ গাজার পুনর্গঠনে অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। তবে তিনি শর্ত দেন—গাজাকে অস্ত্রমুক্ত করতে হবে এবং সেখানে সৎ ও দক্ষ বেসামরিক পুলিশ বাহিনী গঠন করতে হবে।
ট্রাম্প জানান, শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ‘বোর্ড অব পিস’ নামে নতুন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করা হবে, যা গাজায় অস্থায়ী প্রশাসন ও শান্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তদারকি করবে। তিনি বলেন, আমরা এই বোর্ডে কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করব; সবাই এর অংশ হতে চায়।
জিম্মিদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ভালোবাসা ও বেদনার এমন মুহূর্ত আমি আগে কখনও দেখিনি। তিনি এটিকে ‘অবিশ্বাস্য’ অভিজ্ঞতা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এই দৃশ্যই শান্তিচুক্তির মানবিক দিককে আরও স্পষ্ট করেছে। সূত্র: সিএনএন ও আল জাজিরা