সময়ের জনমাধ্যম

ছেলেদের কারণে ‘বিপাকে’ মাহাথির

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ । ফাইল ফটো: জাজিরা নিউজ

Last Updated on 1 year by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ছেলেদের কারণে বিপাকে পড়েছেন ।

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) প্রধান বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছেন, মাহাথির তার ছেলেরা জড়িত এমন একটি দুর্নীতির মামলায় তদন্তের মুখোমুখি হবেন। খবর রয়টার্সের

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাথিরের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরাসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত এই মামলায়। সম্প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকার। এর মধ্যেই এই তদন্তের কথা জানালো এমএসিসি।

এমএসিসির প্রধান কমিশনার আজম বাকী বৃহস্পতিবার মাহাথির বা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘তদন্ত আগে শেষ হতে দিন, একটি উপযুক্ত সময় পর্যন্ত যখন আমরা মামলার ফল প্রকাশ করতে পারি।’

এদিকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আনোয়ার। তিনি বলেছেন, তদন্তগুলো উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টার অংশ।

এমএসিসি জানুয়ারিতে মাহাথিরের ব্যবসায়ী ছেলে মিরজান ও মোখজানিকে একটি সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত অফশোর আর্থিক ও ব্যবসায়িক রেকর্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের সম্পদের বিবরণ দেওয়ার নোটিশ দিয়েছিল।

মাহাথিরের অফিস থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এর আগে তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্তকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছিলেন।

মাহাথির ১৯৮১ সাল থেকে দু’বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময় আনোয়ারের রাজনৈতি অভিভাবক ছিলেন মাহাথির। কিন্তু ধীরে ধীরে দুজনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন। তাদের দ্বৈরতের প্রভাব মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে কয়েক দশক ধরে দেখা গেছে।

আনোয়ার ২০ বছরের বেশি সময় বিরোধী নেতা হিসেবে ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ও অর্থনীতিতে নজর দেওয়া অঙ্গীকার করে তিনি ক্ষমতায় আসেন।

কিন্তু সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। কারণ তার জোটে আছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িতরা একের পর এক দুর্নীতির মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। আনোয়ার বারবার বলেছেন, তিনি আদালতের মামলায় কোনো হস্তক্ষেপ করেন না।