Last Updated on 1 month by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’।
জাকসুর মোট ২৫টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক (জিএস), দুটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)সহ ২০টি পদে জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্যানেলের আবদুর রশিদ (জিতু)।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ভিপি পদে ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’-এর প্রার্থী আবদুর রশিদ (জিতু)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক জিতু এর আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির–সমর্থিত প্যানেলের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ ভোট।
এ পদে বাগছাস–সমর্থিত প্যানেলের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১ হাজার ২১১ ভোট এবং ভোটের দিন নির্বাচন বর্জন করলেও ছাত্রদল–সমর্থিত শেখ সাদী হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
জিএস পদে শিবির–সমর্থিত প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩ হাজার ৯৩০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। এজিএস (পুরুষ) পদে ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (নারী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা জয় পান। তিনটি শীর্ষ পদে শিবিরের প্রার্থীরা মোট ২টি পদে এবং ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হওয়ায় নেতৃত্বে বৈচিত্র্য দেখা গেছে।
শিবির–সমর্থিত প্যানেলের অন্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু উবায়দা উসামা, পরিবেশ সম্পাদক সাফায়েত মীর, সাহিত্য সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন, নাট্য সম্পাদক রুহুল ইসলাম, সহক্রীড়া সম্পাদক মাহাদী হাসান ও ফারহানা আক্তার, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সহসমাজসেবা সম্পাদক তৌহিদ হাসান ও নিগার সুলতানা, স্বাস্থ্য সম্পাদক হুসনী মোবারক, পরিবহন সম্পাদক তানভীর রহমান, কার্যকরী সদস্য নুসরাত জাহান ইমা, ফাবলিহা জাহান নাজিয়া, নাবিলা বিনতে হারুন, হাফেজ তারিকুল ইসলাম ও মো. আবু তালহা।
শিবিরের বাইরে বাগছাস–সমর্থিত আহসান লাবিব সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহামুদুল হাসান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন মুহিবুল্লাহ শেখ এবং কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে জয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী চিশতী।
নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে নতুন প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন—এটাই প্রত্যাশা। দীর্ঘদিন পর নির্বাচন সম্পন্ন হওয়াকে তিনি কমিশনের জন্য ‘গৌরবের ব্যাপার’ হিসেবে উল্লেখ করেন।