Last Updated on 4 hours by zajira news
জাজিরা নিউজ ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধে যাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলার বুকে অর্জিত হয়েছে নতুন এক ভূখণ্ড। জাতির সেই সূর্য সন্তানদের স্মরণ করতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেমেছে মানুষের ঢল।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ বীর সন্তানদের স্মরণ করতে ভিড় করছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিছুক্ষণ পর প্রবেশ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করেন। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা। পরে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রকৃতি থেকে কুয়াশার চাদর অনেকটাই সরে গেলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঠিক তখনই স্মৃতিসৌধ–সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন স্থানে অপেক্ষায় থাকা মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দলের নেতারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিসৌধ চত্বরে ভিড় জমতে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের। ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে স্মৃতিসৌধের বেদি ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। শ্রদ্ধা জানাতে শিশু-কিশোরদের অনেকে এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কারও হাতে জাতীয় পতাকা, কারও গালে-কপালে জাতীয় পতাকা আঁকা। আবার কারও মাথায় পতাকাখচিত ব্যান্ড।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘যে অপশক্তি আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, সেটার বিরুদ্ধে আমরা সবাই মিলে দাঁড়াব, এটা প্রত্যাশা।’
সাভারের ব্যাংক কলোনি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছেন সাবিহা বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যাঁদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, এখানে এসেছি সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।’


