Last Updated on 4 weeks by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এর যুগে দিন দিন মানুষের কাছে কঠিন হয়ে উঠছে আসল আর নকলের পার্থক্য করা।
নতুন প্রজন্মের এআই টুল দিয়ে এমন সব ভিডিও বানানো হচ্ছে, যা দেখলে মনে হয় সত্যিই কোনও ঘটনা ঘটেছে।
এর সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামের এক সামুদ্রিক প্রাণী প্রশিক্ষককে লাইভ শো চলাকালীন ওরকা বা কিলার হোয়েল মেরে ফেলেছে দাবি করা ভয়ঙ্কর ভিডিওর কথা বলা যায়। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক, ফেসবুক ও এক্সে ব্যাপক ঝড় তুলেছে।
তবে একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সূত্র নিশ্চিত করেছে, ফুটেজটি পুরোপুরি এআই দিয়ে বানানো এবং এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভাইরাল হওয়া এই ক্লিপে দেখা যায়, এক তরুণী প্রশিক্ষক প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ওরকার পিঠে নাচছেন। দর্শকেরা উল্লাস করছেন, ওরকা পানিতে লাফিয়ে উঠছে। কিছু সময় পর হঠাৎ সেটি ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং জেসিকা র্যাডক্লিফকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়।
ভিডিওটি শেয়ার করা কয়েকজন ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচ থেকে তুলে আনার কয়েক মিনিট পর ওই নারী মারা যান।
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামের কোনও সামুদ্রিক প্রশিক্ষককে কিলার হোয়েল আক্রমণ করেছে; এমন দাবির পক্ষে কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এমনকি কর্তৃপক্ষ, সামুদ্রিক উদ্যান কিংবা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোথাও কোনও নথি কিংবা ঘটনার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার বলেছে, ফুটেজটি কাল্পনিক। এমনকি ভিডিওর কণ্ঠস্বরও কৃত্রিমভাবে তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ মনগড়া কিন্তু ভিডিওটিতে কিছু বাস্তব ঘটনার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত বাস্তব ঘটনায় ২০০৯ সালে কানারি দ্বীপপুঞ্জের লোরো পার্কে ২৯ বছর বয়সী ওরকা প্রশিক্ষক আলেক্সিস মার্টিনেজ ‘কেটো’ নামের একটি তিমির আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও আঘাতে মারা যান। আর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিওয়ার্ল্ড অরল্যান্ডোতে ৩৬ বছর বয়সী ডন ব্রানচো ‘টিলিকাম’ নামের ওরকার টেনে পানির নিচে ডুবিয়ে হত্যার শিকার হন এটি পরবর্তীতে ব্ল্যাকফিশ প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়।