সময়ের জনমাধ্যম

ট্রাম্পের নির্দেশেই স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: আদালতে কোহেন

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্টর্মি ড্যানিয়েলস

Last Updated on 1 year by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবী করেন, সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন ।

সোমবার (১৩ মে) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, ‘আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তাঁর লাভের জন্যই করেছি।’

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে। এমনকি ট্রাম্প যদি নিজেই ওই অর্থ না দিয়েও থাকেন।

ম্যানহাটনের আদালতে কোহেন জানিয়েছেন, সেটা ২০১৬। তখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলছে। স্টর্মি ও ক্যারেন বেফাঁস কিছু বলে ফেললে প্রচার ধাক্কা খাবে এই শঙ্কায় প্রার্থীর প্রচার তহবিল থেকে প্রচুর ডলার নিয়ে ওই দুই মহিলার মুখ বন্ধ করা হয়েছিল।

ম্যানহাটন আদালতে কোহেনের বিরুদ্ধে প্রচার তহবিলের গরমিল, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ও করফাঁকি-সহ ৮টি ফৌজদারি মামলা চলছে। তারই একটির শুনানিতে কোহেন মঙ্গলবার আদালতে এ কথা জানান। কোহেন অবশ্য সরাসরি ট্রাম্পের নামোল্লেখ করেননি আদালতে। তবে কোহেনের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস পরে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘কোহেন এ দিন আদালতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাই বলেছেন। ট্রাম্প তাকে প্রচুর ডলার দিয়ে ওই দুই মহিলার মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’ আইনজীবী ডেভিসের প্রশ্ন, ‘‘ডলার দিয়ে দুই মহিলার মুখ বন্ধ করাটা যদি কোহেনের অপরাধ হয়ে থাকে, তা হলে কোহেনকে সেই নির্দেশ দেয়ার জন্য ট্রাম্প কেন অপরাধী হবেন না আইনের চোখে?’’

ম্যানহাটন আদালতে ট্রাম্পের নির্বাচনী ও প্রচার তহবিলের যে হিসেবপত্র দাখিল করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, গরমিল রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ডলারের। কোহেন আদালতে জানিয়েছেন, তার মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয় হলিউডের অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসের। আর দেড় লাখ ডলার দেয়া হয় সেই সময়ের বিখ্যাত প্লেবয় মডেল ক্যারেন ম্যাকডোগালকে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য স্টর্মি ও ক্যারেনের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তার আইনজীবী রুডি গ্যুলিয়ানি বলেছেন, ‘‘কোহেন ডাহা মিথ্যেবাদী। স্টর্মি ও ক্যারেনকে ডলার দেয়া হয়েছিল ট্রাম্প আর তাঁর পরিবারকে বিব্রত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে। তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কোনো সম্পর্ক ছিল না।’’

এই প্রথম কোনও ফৌজদারি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।অভিযোগগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ ১ বছর চার মাস থেকে ৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।