সময়ের জনমাধ্যম

তুরস্ক উড্ডয়ন করল নিজস্ব প্রযুক্তির প্রথম যুদ্ধবিমান

Last Updated on 11 months by admin

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: সফলভাবে আকাশে উড়েছে তুরস্কের নিজেদের তৈরি ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার কান (KAAN)। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাজধানী আঙ্কারার মুর্টেড এয়ারফিল্ড থেকে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়ন করে।

১৩ মিনিট উড্ডয়ন শেষে স্টিলথ ফাইটারটি সফলভাবে অবতরণও করে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম সদস্য তুরস্ক নিজেদের বিমান বাহিনীকে আপগ্রেড করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে নেয়া প্রকল্পের অধীনে এই যুদ্ধবিমান তৈরি ও ফ্লাইট পরিচালনা করা হলো।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এক পোস্টে বলেছেন, ‘আজ আমরা তুর্কী প্রতিরক্ষা শিল্পের গর্বিত দিনগুলির একটি অভিজ্ঞতা পেয়েছি। আমাদের জাতীয় ফাইটার জেট কান সফলভাবে আজ সকালে তার প্রথম ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে। সুতরাং তুরস্ক তার নিজস্ব ৫ম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরির প্রক্রিয়ায় একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করেছে।

এরদোয়ান বলেন, আমরা আমাদের কান এর অন্যান্য পরীক্ষা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা জোরদার করব। আগামী সময়ে প্রতিরক্ষা শিল্পে আমরা আমাদের জাতিকে নতুন খবর দিতে থাকবো।

ন্যাটোর সদস্য তুরস্ক ২০১৬ সালে একটি জাতীয় যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য টিএফ-এক্স প্রকল্প চালু করে। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের বিএই সিস্টেমসের সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চুক্তি করে তুর্কি অ্যারোস্পেস কোম্পানি টুসাস। তিসাস একটি ভিডিও শেয়ার করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি কেএএএন যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করছে এবং তারপর উত্তর আঙ্কারার একটি বিমান ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তরের (এসএসবি) প্রধান হালুক গোরগুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘কেএএএন-এর মাধ্যমে আমাদের দেশে কেবল পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানই থাকবে না, বরং এমন প্রযুক্তিও থাকবে যা বিশ্বের কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে।

জানা গেছে, নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের সঙ্গে কান যুদ্ধবিমান এয়ার-টু-এয়ার যুদ্ধে সক্ষম। পাশাপাশি সুপারসনিক গতিতে অভ্যন্তরীণ অস্ত্রভান্ডার থেকে নির্ভুল হামলা করতে সক্ষম কান। একইসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক সহায়তায় বর্ধিত যুদ্ধ শক্তিও পাবে ৫ম প্রজন্মের এই স্টিলথ ফাইটার। ২১ মিটার (৬৯ ফুট) লম্বা যুদ্ধবিমানটি সর্বোচ্চ ২ হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম।

এতে রয়েছে দুটি ইঞ্জিন। আর এ ইঞ্জিনগুলো বিমানটিকে আকাশে উড়াতে ২৯ হাজার পাউন্ড শক্তি সঞ্চার করতে পারে। যুদ্ধবিমানটিতে রয়েছে উচ্চ সচেতনতা প্রযুক্তি, যুদ্ধের ক্ষতি শনাক্তকরণ প্রযুক্তি, অপটিমাইজড পাইলট ওয়ার্কলোড, নতুন প্রজন্মের মিশন সিস্টেম, কম পর্যবেক্ষণযোগ্যতা প্রযুক্তি, নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার প্রযুক্তি এবং অস্ত্র মজুদকরণ ব্যবস্থা।