সময়ের জনমাধ্যম

পবিত্র শবে মেরাজ ৮ ফেব্রুয়ারি

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Last Updated on 9 months by admin

নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (২৬ রজব) বৃহস্পতিবার পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালিত হবে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নায়েব আলী মন্ডল।

সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরি, ২৮ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

এ অবস্থায়, ২৯ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. শনিবার জমাদিউস সানি মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ৩০ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. রোববার থেকে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৬ রজব ১৪৪৫ হিজরি, ২৫ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শব-ই-মিরাজ পালিত হবে।

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন।

তিনি (সা.) অবলোকন করেন, সৃষ্টিজগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মিরাজ’।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবী এ পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজের রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। এজন্য মুসলিমদের কাছে মিরাজের তাৎপর্য অনেক।