সময়ের জনমাধ্যম

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরই কিমের ডিএনএ মুছে ফেলেছে কর্মীরা

বেইজিংয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কিম জং উন যে সমস্ত জিনিসপত্র স্পর্শ করেছিলেন সেগুলো পরিষ্কার করছেন উত্তর কোরিয়ার এক কর্মী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

Last Updated on 2 months by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন খুব কমই বিদেশ সফরে যান। গেলেও বিমানে ভ্রমণ করেন না। চড়েন বিশেষ ট্রেনে। এবার চীনের বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিতে সেই ট্রেনে চড়েই সেখানে গেছেন।

কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিমের সাক্ষাতের পর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। এই ভিডিওটি কূটনৈতিক প্রোটোকলের চেয়ে ক্রাইম মুভির স্বাদ বেশি দিচ্ছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, বেইজিংয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কিম জং উন যে সমস্ত জিনিসপত্র স্পর্শ করেছিলেন সেগুলো পরিষ্কার করছেন উত্তর কোরিয়ার কর্মীরা।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের পর পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন কিম। বৈঠক শেষ হতেই লক্ষ্য করা যায় বিষয়টি। টেলিগ্রামে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বৈঠক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিমের দুই সহযোগী দ্রুত কাজ শুরু করেছেন।

একজন কর্মচারী কিমের চেয়ারের পিছনের অংশটি সাবধানে ঘষে ঘষে মুছছেন। অন্যজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের মতো সাবধানে তার গ্লাসটি একটি ট্রেতে করে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ কিম যা কিছু স্পর্শ করেছিলেন তা পরিষ্কার করা হচ্ছে এবং কিছু জিনিসপত্র এমনকি কর্মকর্তারা নিয়েও যান।

চেয়ারের হাতল থেকে শুরু করে পাশের টেবিল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার নেতার উপস্থিতির প্রতিটি চিহ্ন মুছে ফেলা হয়। রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাশেভ বিষয়টি নিয়ে তার চ্যানেল ইউনাশেভ লাইভে বলেছেন, ‘আলোচনার পর উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে থাকা কর্মীরা কিমের উপস্থিতির সমস্ত চিহ্ন সাবধানে মুছে ফেলেন।’

ইউনাশেভ বলেন, কর্মকর্তারা কিম যে গ্লাসে পান করেছিলেন, সেই গ্লাসটিও সরিয়ে নেন, চেয়ারের কুশন এবং কিম যে আসবাবপত্র স্পর্শ করেছিলেন তার অংশগুলোও মুছে ফেলেন। তিনি আরও বলেন, দুই নেতারা আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়। কিম ও পুতিন উভয়ই ‘খুব সন্তুষ্ট’ হয়ে যার যার গন্তব্যে চলে যান।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের স্পর্শ করা জিনিসপত্রের এই ফরেনসিক স্তরের পরিষ্কারের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ অনুমান করছেন, এটি রাশিয়ার শক্তিশালী প্রতিরক্ষা পরিষেবার বিপরীতে একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। আবার কেউ কেউ এটাকে চীনের নজরদারি এড়ানোর কৌশলও বলেও মনে করছেন।