সময়ের জনমাধ্যম

পেস দাপটে জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ

Last Updated on 3 weeks by zajira news

স্পোর্টস ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ১২ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা পাকিস্তানের দ্রুত ২ উইকেট তুলে নেওয়ার পর মোমেন্টাম চলে আসে বাংলাদেশের হাতের নাগালে। পরপর দুই ওভারে আবদুল্লাহ শফিক ও ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নামা খুররম শেহজাদকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ।

আজ সকালেও আগের দিনের ছন্দ ধরে রাখেন বাংলাদেশের পেসাররা। আগের দিন ২ উইকেট নেওয়া হাসান আজ আরও ৩ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিলেন। গতিময় বোলিংয়ে নাহিদ রানার শিকার ৪ উইকেট। অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ ১ উইকেট নিলে পাকিস্তান ১৭২ রানে অলআউট হলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান।

আজ সকালে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট শিকারি তাসকিন। ওপেনার সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ জুটিটাকে বড় করার চেষ্টা করলেও ১৩তম ওভারে সাইমকে কাভারে অধিনায়ক নাজমুল হাসানের তালুবন্দী করেন তাসকিন। ৩ চারে ৩৫ বলে ২০ রান করেন সাইম। চতুর্থ উইকেটের জন্যও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৭তম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করে এসে তৃতীয় বলেই কট বিহাইন্ড শান মাসুদ। রানার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট শট খেলতে গিয়ে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তাঁর ২৮ রানে এসেছে ৩৪ রানে।

নাহিদ সেখানেই থামলেন না। গতিময় বোলিংয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তি বাড়াতে থাকেন। উপহার হিসেবে পেয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমের উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ তোলেন বাবর। ১৮ বলে ১১ রানে বাবর আউট হওয়ায় ঘোর বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ১৮.১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ৬৫ রান, লিড ৭৭ রান।

৪২তম ওভারে নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এসেই ব্রেক থ্রু এনে দেন আরেক পেসার রানা। আবরার আহমেদকে বাউন্সারে কাঁপিয়ে স্লিপে থাকা নাজমুলের তালুবন্দী করেন তিনি। হাসানের মতো নাহিদের তখন উইকেট ৪টি। পাকিস্তানকে অলআউট করতে দরকার ১ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নেওয়ার মধুর প্রতিযোগিতা তখন দুই পেসারের মধ্যে। সেই প্রতিযোগিতায় জিতেছেন হাসানই। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মির হামজাকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট নেন তিনি।

পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো পেসারের এটাই প্রথম ৫ উইকেট। মাত্র ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি, নাহিদের শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। আরেক পেসার তাসকিন নিয়েছেন ১ উইকেট। টেস্টে এবারই প্রথম এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। জবাবে বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম যা করলেন চতুর্থ ইনিংসে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। জাকির আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন, সাদমান খেললেন দেখেশুনে।

আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হওয়ার আগে জাকির ৩১ রান করেছেন মাত্র ২৩ বলে, সাদমানের ৯ রান এসেছে ১৯ বলে। দুজনের সৌজন্যে ৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৪৩ রান, হাতে আছে ১০ উইকেট। রাওয়ালপিন্ডির আবহাওয়াই পারে ধবলধোলাই থেকে পাকিস্তানকে এখন বাঁচাতে পারে ।