সময়ের জনমাধ্যম

প্রশ্নপত্র ফাঁসে তোলপাড়: পিএসসির ২ উপপরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার

Last Updated on 12 months by zajira news

নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পিএসসিরই দুই জন উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গ্রেফতার ১৭ জনের মধ্যে ছয়জনই পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদের মধ্যে মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম পিএসসির উপপরিচালক, মো আলমগীর কবির পিএসসির সহকারী পরিচালক, সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসির অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, পিএসসির অডিটর প্রিয়নাথ রায়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন। বাকি আটজন হলেন- নোমান সিদ্দিকী, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মামুনুর রশীদ, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি চক্র এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

এর সঙ্গে পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিএসসির গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইলের কিছু স্ক্রিনশট অনেককে শেয়ার করতে দেখা গেছে। এতে তার রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত ও পরহেজগারির নানা দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইডি কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অর্থ নিতেন। ৫ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তাঁরা। চক্রেরা সদস্যরা ওই পরীক্ষার আগের রাতে তাঁদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে ওই প্রশ্নপত্র ও তাঁর উত্তর দিয়ে দেন।

পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সিআইডির কর্মকর্তারা বলেন, রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নটি উপপরিচালক মো. আবু জাফরের কাছ থেকে তিনি নিয়েছিলেন। এর জন্য আবু জাফরকে তিনি দুই কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এর আগেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষের ট্রাংক খুলে তিনি প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো ফাঁস করেছেন। সেগুলোর মধ্যে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও রয়েছে। এ কাজে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী বিভিন্ন সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।