সময়ের জনমাধ্যম

ফিলিপিন্সে ১৮৮ জনের প্রাণ নেওয়া কালমায়েগির ধ্বংসযজ্ঞ এবার ভিয়েতনামে

Last Updated on 8 hours by zajira news

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ফিলিপিন্সে অন্তত ১৮৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এ ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) রাতের দিকে মধ্য ভিয়েতনামে আছড়ে পড়ে।

এর ধ্বংসযজ্ঞে দেশটিতে অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে, বহু ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক অঞ্চল।

বিবিসি জানিয়েছে, দুর্বল হয়ে পড়া কালমায়েগি ভিয়েতনামের ভেতর দিয়ে এখন কম্বোডিয়া ও লাওসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

টাইফুনের প্রভাবে ডাক লাক প্রদেশে একটি বাড়ি ধসে একজন এবং গিয়া লাই প্রদেশে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে ভিয়েতনামের স্থানীয় গণমাধ্যম। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ মৃত্যুর খবর এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়লেও মধ্যাঞ্চলীয় থান হোয়া থেকে কোয়াং ত্রি প্রদেশে সর্বোচ্চ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে বিভিন্ন ভবনের উড়ে যাওয়া ছাদ, পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়ি এবং উপড়ে পড়া গাছপালা ও রাস্তায় ছড়ানো ছিটানো ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য দেখা গেছে।

দেশটির সরকার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছে। নিচু এলাকায় সম্ভাব্য বন্যার ব্যাপারেও সতর্ক করেছে তারা। সেরকম ক্ষেত্রে ভিয়েতনামের প্রধান কফি উৎপাদন অঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফিলিপিন্সের কর্মকর্তারা টাইফুনে তাদের দেশে নিহতের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এখনও আরও ১৩৫ জন নিখোঁজ এবং ৯৬ জন আহত বলে জানিয়েছেন।

কালমায়েগি চলতি বছর দক্ষিণ চীন সাগর থেকে সৃষ্টি হওয়া ত্রয়োদশ টাইফুন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় টাইফুন বেল্ট সংলগ্ন হওয়ায় ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সকে নিয়মিতই নানা মাত্রার ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয়, দেখতে হয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বিপুল প্রাণহানি।

আরেকটি টাইফুনের প্রভাবে সপ্তাহান্তে দেশের একাধিক অংশ ক্ষতির কবলে পড়তে পারে আশঙ্কায় ফিলিপিন্সের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে দেশের সব অঞ্চলের কেন্দ্র ও বিমানবন্দরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সতর্কাবস্থায় থাকার।