Last Updated on 5 months by zajira news
নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। এসময় মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন সাবেক অধ্যক্ষ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ শফিকুর রহমান, যিনি ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার গঠনের পর মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় ঐতিহাসিক মুজিবনগরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রত্যক্ষদর্শী। আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মামুন সিদ্দিকী এবং অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।
আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে মুহম্মদ শফিকুর রহমান ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, “আমি তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পর ২৬ শে মার্চ থেকেই দেশব্যাপী যুদ্ধের আলোড়ন তৈরি হয়। এর মধ্যেই আমরা জানলাম যে, মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছে ১০ তারিখ এবং শপথ গ্রহণ হবে ১৭ই এপ্রিল। তখন আমরা আমাদের ছাত্র ভাইদের সহকারে মুজিব নগরের আম্রকাননে সমবেত হই এবং সেখানে এক কোণ থেকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও প্যারেড সবকিছু প্রত্যক্ষ করি। তখন অন্যরকম একটা উত্তেজনা, উৎসাহ, উদ্দীপনা আমাদের মধ্যে কাজ করেছে, যেন আমরা প্রকৃতপক্ষেই যুদ্ধরত অবস্থায় আছি।”
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন এবং মা-বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়। এ স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
আলোচক মামুন সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই সময়ে এসেও অনেকে জাতীয় চার নেতা এবং বঙ্গবন্ধুর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেন যা ঠিক নয়।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির সচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। দেশের মানুষের যাবতীয় অধিকার ও সব রকমের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে এ স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে। তাই স্বাধীনতা কীভাবে অর্জিত হয়েছে, তার নেপথ্য ইতিহাস জানা জরুরি এবং এই ধারণাটিকেই শিল্পকলা একাডেমি লালন ও চর্চা করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একাডেমির কর্মকর্তা সৌম্য সালেক। আলোচনা পর্বের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা আবৃত্তি করেন মীর বরকত এবং মুক্তির গান পরিবেশন করেন ঢাকা সাংস্কৃতিক দল।
