সময়ের জনমাধ্যম

বিদায় ফুটবল কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার

Last Updated on 9 months by admin

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মারা গেছেন। ফ্রাঞ্জ-এর পরিবারের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

ইনস্টাগ্রামে বেকেনবাওয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার স্বামী বেকেনবাওয়ার মারা গেছেন। ঘুমের মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা পাশে ছিলেন। কোন বিরক্তি ছাড়া নিরবে তার মৃত্যু শোক কাটাতে পারবো এই আশা করছি।’

জার্মান ফুটবলের অন্যতম আইকন বেকেনবাওয়ার। কেউ কেউ তাকে দেশটির ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হিসেবেও মনে করেন। কী নেই তার ঝুলিতে! সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার তো বটেই অন্যতম সেরা কোচও তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে জার্মানিকে (তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি) চ্যাম্পিয়ন করার পর কোচ হিসেবে ১৯৯০ বিশ্বকাপ জেতেন বেকেনবাওয়ার। বিশ্বকাপ জয়ের আগে ১৯৭২ সালে জার্মানিকে করে তোলেন ইউরোর সেরা। ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখ তার অধীনে জেতে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগ। ৬ বার উঁচিয়ে ধরে বুন্দেসলিগার শিরোপা। বেকেনবাওয়ারের ব্যক্তিগত অর্জনও কম ছিল না। দুইবার জেতেন ব্যালন ডি অর। জার্মানির বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন চারবার। ডিফেন্ডার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে জায়গা করে নেন বিশ্বকাপের স্বপ্নের একাদশে।

 

খেলোয়াড়, কোচ এবং অধিনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান পেলে-ম্যারাডোনার মতোই এক পাল্লায় ওজন করা হয়। আশি ও নব্বই দশকে বাংলাদেশের ফুটবলমোদীদের মধ্যে পেলে ও ম্যারাডোনার পাশাপাশি তাঁর নামটাই উচ্চারিত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে পৃথিবীতে যে তিনজন ব্যক্তি বিশ্বকাপ জিতেছেন, বেকেনবাওয়ার তাঁদের একজন। দিদিয়ের দেশম ও মারিও জাগালো বাকি দুই। শুধু দেশম ও বেকেনবাওয়ারই অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপ। শুধু কি তা–ই, ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সত্তর দশকে বায়ার্ন মিউনিখও সেরা হয়ে উঠেছিল বেকেনবাওয়ারের স্পর্শধন্য হয়ে।

বেকেনবাওয়ার একজন দাপুটে ফুটবলার হলেও তাঁর খেলার মধ্যে একটা আলাদাই শিল্প ছিল। সেকারণেই সকলে তাঁকে ভালোবেসে ‘ডার কাইজার’ বলে ডাকতেন। বিশেষ করে তিনি বলের উপর যেভাবে দখল রাখতে পারতেন কিংবা বিপক্ষের থেকে বল কেড়ে নেওয়ার একটা প্রতিভা ছিল, তা আজও ফুটবল বিশ্বের কাছে শিক্ষণীয়।