Last Updated on 3 weeks by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: উন্নত জীবনের আশায় হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিক বৈধ ভিসায় ইতালিতে এলেও পূর্বনির্ধারিত মালিক না পেয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে দূতাবাসে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রবাসীরা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ অগাষ্ট) রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত রকিবুল হকের কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
একই দিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। নন-সিজনাল বা স্পন্সর ভিসায় আসা এ শ্রমিকরা কাজের সুযোগ না পেয়ে ধীরে ধীরে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, শ্রমিক সংকট কাটাতে ইতালি সরকার ঘোষিত ‘ডেক্রেতো ফ্লুসসি’-এর আওতায় বিগত বছরগুলোতে নন সিজনাল বা স্পন্সর ভিসা নিয়ে বৈধভাবে দেশটিতে আসা হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিক এখন নানা সংকটে পড়েছেন।
শ্রমিকরা জানান, দুই থেকে তিন বছর ধরে আইনি জটিলতা ও মালিকের অনুপস্থিতির কারণে তারা বৈধতা হারাচ্ছেন। কাজ না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ও মৌলিক অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাদের দাবি, বৈধ ভিসায় ইতালি আগতদের দ্রুত বৈধতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার এবং রোম দূতাবাসকে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দালালদের প্রতারণার শিকার শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “আমরা অবৈধভাবে আসিনি, ইতালির সরকারের বৈধ ভিসা নিয়েই এখানে এসেছি। কিন্তু মধ্যস্থতাকারীর প্রতারণা ও আইনি জটিলতায় দুই থেকে তিন বছরেও বৈধ হতে পারিনি। এর ফলে কাজ হারাচ্ছি, স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছি না এবং মানবিক সমস্যায় ভুগছি।”
তারা আশা প্রকাশ করেন, চলতি মাসের ৩১ তারিখে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির বাংলাদেশ সফরের সময় এ বিষয়টি দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনায় আনা হবে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “নন-সিজনাল স্পন্সর বা ‘নুল্লা অস্তা’র ভিত্তিতে ইতালিতে বৈধভাবে আসা প্রবাসীদের বৈধতা প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি দূতাবাস গ্রহণ করেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নোট করা হয়েছে এবং ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। সমাধানের লক্ষ্যে ইতিবাচক আশ্বাস পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও বলেন, দূতাবাস প্রবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।