সময়ের জনমাধ্যম

বাংলাদেশিদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া সরকারের মসজিদের অনুমোদন

Last Updated on 4 weeks by zajira news

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি, জাজিরা নিউজ: মালয়েশিয়ার পেনাং এ বাংলাদেশিদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বহু বছর পর মসজিদ এর জন্য সরকারি অনুমোদন পেল। এই উপলক্ষে মসজিদ কমিটি স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে শোকরানা মাহফিল ও দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করে ।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় নাগরিক হাজী জাকারিয়া বিন হাজী আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং আসাদুজ্জামান আহাদ বিন হাজী আব্দুল খালেক এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত রোববার (২৫ মে) পেনাং এ মসজিদ/সুরাও ( আল-হিদায়াহ ) এর প্রাঙ্গনে উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মালয়েশিয়ার পেনাং এ কোরআন প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকারি হাফেজ আহমেদ রহমানের সুমিস্ট কন্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়ালালামপুর থেকে আগত দাতো উইড়া ডক্টর মোহাম্মদ খাইরুদ্দিন বিন রাজালি, ওআইবি দাতো ফোহাদ, এবং দাতো আব্দুর রাসিদ বিন ইদরিস।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দাতো কালাম, স্মরণ, মিজান, কাওসার, বাশির, ইকবাল প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাকিব, রেজা, বুলবুল, জাকির, হাজী শামসুলসহ আরও অনেকে ।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য আসাদুজ্জামান আহাদ বিন বলেন, শুরু থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর ধরে মতোয়াল্লী হিসেবে পরিচালনা করতেছি মসজিদ সংস্কারের বিভিন্ন কাজ। প্রথম যখন কাজ শুরু করেছিলাম আমরা তখন এখানে জঙ্গল ছিল। আমরা প্রবাসীদের অদম্য প্রচেষ্টায় ক্রমে ক্রমে বর্ধিত হয়ে মসজিদের আজকে এই পর্যন্ত এসেছে।

মসজিদের সরকারি অনুমোদন প্রাপ্তিতে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যান্ত খুশির খবর। এই মসজিদের পেছনে আমরা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি তারা সবাই খুব আনন্দিত। শত শত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাদের কাজ শেষে সুযোগ পেলেই এখানে নামাজ পড়তে আসে। এই মসজিদে যেন জুমার নামাজ আদায় করা যায় তার সরকারি অনুমোদন নিতে সেই প্রচেষ্টায় চলছে দ্রুত গতিতে। খুব শীঘ্রই তাদের এই ইচ্ছাও পূরন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আহাদ।

আসাদুজ্জামান আহাদ বলেন, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া নামে তাদের একটি সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনটির পক্ষে থেকে ইমামের বেতনসহ মসজিদের যাবতীয় খরচ সম্পন্ন করা হয়।

মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ইয়াছিন ইসলামপুরী জানান, মসজিদে দুরদুরান্ত থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা নামাজ পড়তে আসেন। এবং মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের অনুমতি পাওয়ার কথা রয়েছে। যদি তা বাস্তবায়ন হয় তবে দুর-দুরান্ত থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসে এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পারবেন। সেটা হবে আরও আনন্দের বলে জানান তিনি।

সকাল ১১ বাজে কোরআন তিলওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অতিথিদের বক্তব্য শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন চলে দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে স্থানীয় নাগরিক সহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের ছিল ভীড়।

‘আল-হিদায়াহ’ মসজিদটি এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে খুবই পরিচিত। প্রায় হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে এই মসজিদে । মহিলাদের নামাজ আদায়ের জন্য রয়েছে পর্দাঘেরা পৃথক স্থান। মসজিদের অভ্যন্তরে রয়েছে দামি কার্পেট, বাতি সহ অন্যান্য বিশেষ ব্যবস্থা। রয়েছে ওজুঘর ও টয়লেট। মুসল্লিদের জ্ন্য রয়েছে গাড়ী পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা। প্রবাসীদের পাশাপাশি প্রতিদিন স্থানীয় নাগরিকরাও এখানে নামাজ পড়তে আসে প্রতিদিন।

Reendex

Must see news