Last Updated on 3 weeks by zajira news
বিনোদন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: এক সাগর রক্তের বিনিময়ে নয় মাসের লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাক হানাদারকে হটিয়ে ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর সবুজের বুকে বিজয়ের লাল টকটকে সূর্যটাকে ছিনিয়ে আনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। যার কারণে বিশ্বে মানচিত্রে স্থান করে নেয় লাল-সবুজের পতাকার ছোট্ট ভূখণ্ডের মানচিত্র।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার ছিল বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকী। নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের এবারের বিজয়টা সঙ্গত কারণেই একটু ব্যতিক্রম। এবারের বিজয় নিয়ে জাতির প্রত্যাশাও ছিল অনেক বেশি। আর সেই প্রত্যাশা পূরণে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে কনসার্টের আয়োজন করে। দুপুর ১২টায় কনসার্ট শুরু হওয়ার আগ থেকেই লোকজন আসতে শুরু করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। আর সন্ধ্যা নামার আগেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়ের উচ্ছ্বাসের তারুণ্যের উন্মাদনা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে কলেজ গেট, গণভবন, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
একাত্তরের প্রেরণা থেকে ’২৪-এর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে যেন নতুন স্বাধীনতার ঢেউ লাগে। আর সেই ঢেউয়ে বাঁধভাঙা জোয়ার তুলে দেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা। দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে আধুনিক ও ব্যান্ডের গানের তালে তালে অনুষ্ঠানস্থলে আগত সুরপিয়াসীদের বুকের জমিনে যেন কালবৈশাখী ঝড় উঠে যায়। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে বিএনপি আয়োজিত এই কনসার্টে এক মঞ্চে এত তারকা এর আগে এ জাতি দেখেনি। নতুন বাংলাদেশের বিজয় উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে একমঞ্চে সুরের ঝাঁপি খোলেন একঝাঁক তারকা।
বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখতে এবং দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের তরুণ, ছাত্র, যুবশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা নিয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শিরোনামের এই কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন ব্যান্ড দল নগরবাউল, ডিফারেন্ট টাচ, আর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা ও সোনার বাংলা সার্কাস।
আর একক পরিবেশনায় মঞ্চ আলোকিত করেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, খুরশিদ আলম, কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন, মনির খান, কণা, ইমরান, প্রীতম, মৌসুমী ও জেফার। যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, এই পদ্মা এই মেঘনা, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনারগাঁ ইত্যাদি দেশাত্মবোধক গানের পাশাপাশি ব্যান্ডের গানের উন্মাদনা যেন নতুন বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা জোগায় দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে কনসার্ট চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।