সময়ের জনমাধ্যম

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের তদন্তে যৌথ ভাবে কাজ করবে দুই দেশ

শুক্রবার (১১ জুলাই) কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

Last Updated on 3 weeks by zajira news

কূটনৈতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: মালয়েশিয়ায় জঙ্গি কার্যক্রমের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশিদের বিষয়ে তদন্তে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সাইডলাইনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি মোহামাদ বিন হাজি হাসানের মধ্যে বৈঠকে এই সমঝোতা হয়।

শুক্রবার (১১ জুলাই) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

তিনি অভিযোগের বিষয়ে তথ্য ও অনুসন্ধান বিনিময়ের মাধ্যমে যৌথভাবে গভীর তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান।

গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের দূতাবাস এবং কর্তৃপক্ষের সাক্ষাৎ এবং অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান প্রশাসনিক সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।

শুক্রবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানায়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতীয় বক্তব্যে তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি তৈরি করছে। এছাড়া আসিয়ান সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।

২০০৬ সালে বাংলাদেশ এআরএফে যোগ দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ ও ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দুটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ২০২৬ সালে ম্যানিলায় পরবর্তী এআরএফ মন্ত্রীসভা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।