Last Updated on 1 year by admin
জুম্মান হোসেন, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: অবশেষে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম (৬১)। গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ার অভিবাসন আটককেন্দ্র থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর ও আইনজীবী অ্যাডমন্ড বন।
কাইয়ুমের মুক্তিতে মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তার পরিবার। মেয়ে অর্নিতা জানান, আমার বাবা আমাদের বলেছিলেন, ১২ জানুয়ারি আটকের দিন থেকে তার সাথে খুব ভালো আচরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এম এ কাইয়ুমকে পুত্রজায়ার অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী শাহামিন আরা বেগম, মেয়ে অর্ণিতা তাসনিম আনকাউর এবং আইনজীবী এডমন্ড বন।
গত ৩১ জানুয়াররি কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট অভিবাসন বিভাগকে ১৮ জানুয়ারি আদালতের একটি আদেশ মেনে চলতে বাধ্য করে, যাতে তার ৫ এপ্রিল হ্যাবিয়াস কর্পাস আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার নির্বাসন স্থগিত করা হয়। গত ২৪ জানুয়ারি কাইয়ুমের পরিবার অভিবাসন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাকে নির্বাসনের চিঠি পাওয়ার পর তার আইনজীবীরা এই আদেশের জন্য আদালতে যান। কাইয়ুমকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার।
কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের ৩১ জানুয়ারির সিদ্ধান্তের পর কাইয়ুমের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, অভিবাসন বিভাগ আদালতের আদেশ মেনে চলবে। ৩১ জানুয়ারি পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি তার (কাইয়ুমের) আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করেছি এবং বলেছি, অভিবাসন বিভাগ বিচারিক প্রক্রিয়া মেনে চলবে। আদালত যতক্ষণ পর্যন্ত তার অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দেয়, অভিবাসন বিভাগ তাকে নির্বাসন দেবে না।
২০১৩ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় তিনি ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে অবস্থান করছেন। এর পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তালিকাভুক্ত শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।