সময়ের জনমাধ্যম

মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা কেউ জঙ্গি নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মালয়েশিয়া থেকে তিনজনের ফিরে আসার বিষয়ে তিনি বলেছেন, তারা এসেছেন তাদের আসলে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বিধায়।

Last Updated on 1 day by zajira news

নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়া থেকে যাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা কোনো জঙ্গি নয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে মালয়েশিয়া সরকার তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছে।

রোববার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

মালয়েশিয়া সরকারের দাবি, সেখানে জঙ্গিবাদে জড়িত সন্দেহে বেশ কিছু বাংলাদেশি ধরা হয়েছে এবং বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই—এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো জঙ্গি নেই এটার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটা প্রেস রিলিজও দিয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে যে তিনজন এসেছেন, তাদের আসলে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুলিশের চিফ যেটা বলেছেন, ওই পাঁচজনের আসা হয়নি। তাদের সঙ্গে আমাদের সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখব।

মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান বলছেন, গ্রেপ্তাররা বাংলাদেশের আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার আইজিপি কী বলেছেন সেটা আমি জানি না। ওখান থেকে আমরা একটা মেসেজ পেয়েছি, সরকারি পর্যায়ের কোনো অফিসিয়াল মেসেজ পাইনি। আমরা যে মেসেজটা পেয়েছি সেটার বিপরীতে কিন্তু একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

আপনারা বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি খুঁজে পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এদের (মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তারদের) কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শাহজালালের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের ফলে রফতানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। কী পরিমাণ বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন সেটি সচল রয়েছে কিনা, সেটি জানার জন্যই রফতানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি পরিদর্শন, কোনো অনুষ্ঠান ছিল না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নতুন যে এক্সপোর্ট টার্মিনাল হচ্ছে, সেখানে বড় একটি সুবিধা থাকবে, সেটি হলো- যদি কোনো কারণে পণ্য রপ্তানি না হয়, পরে সেই পণ্য কোল্ড স্টোরেজে রেখে দেওয়া যাবে। বর্তমানে যদি বিমানে পণ্য লোড করা না যায়, কোল্ড স্টোরেজ না থাকার কারণে সেই সুবিধা এখন নেই।