Last Updated on 7 days by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: পাঁচ দিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।
মালয়েশিয়ার সফল কূটনৈতিক মধ্যস্থতায় সোমবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে এই শর্তহীন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাসে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলোচনা শেষে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এই শান্তি চুক্তির ঘোষণা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড একটি অভিন্ন সমঝোতায় পৌঁছেছে। যার প্রথম শর্ত, তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতি। এই যুদ্ধবিরতি সোমবার রাত ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে কার্যকর হবে।’
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, পাঁচ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার’ সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ঘোষণা দেওয়া সমাধানমূলক সব পদক্ষেপ আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অগ্রগতির ভিত্তি তৈরি করবে এবং সম্পর্কের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পথ খুলে দেবে।’
এই শান্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন সেরি পেরদানা। সোমবার সকালেই থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত কুয়ালালামপুরে নিজেদের মধ্যে একদফা বৈঠক করেন।
এসময় মালয়েশিয়ার রাজধানীর আকাশে উড়োজাহাজ চক্কর দিতে দেখা যায়। পরবর্তীতে দুপুরে উভয় নেতা মধ্যস্থতাকারী বিভিন্ন পক্ষকে নিয়ে আলোচনার জন্য আনোয়ার ইব্রাহিমের বাসভবনে পৌঁছান।
গুরুত্বপূর্ণ এই আলোচনার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোরও পরোক্ষ সমর্থন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, দুই নেতার গাড়িবহরের সঙ্গে দেশ দুটির পতাকাবাহী গাড়িও দেখা গেছে, যা এই বৈঠকের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।