সময়ের জনমাধ্যম

শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থানে, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

Last Updated on 3 hours by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি তাঁরা বিদ্যালয়গুলোয় পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

আজ রোববার (৯ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষে শিক্ষক নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

তিন দফা বাস্তবায়ন না করে উল্টো শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।

দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, অনেক শিক্ষক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষকেরা এলাকাভিত্তিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে, দাঁড়িয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থী নেই। সেখানে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে বিদ্যালয়ের পিয়ন পরিচয় দেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলন চলছে, তাই ক্লাস বন্ধ। শিক্ষকেরা আন্দোলনে গেছেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেডে শতাধিক শিক্ষক আহত হন।

শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ হামলা চালিয়েছে বিনা উসকানিতে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, শিক্ষকেরা বাধা উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগোলে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। গতকালের ঘটনার পর আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নতুন কর্মসূচি দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, তাঁরা আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পাশাপাশি তাঁরা বিদ্যালয়গুলোয় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১ কোটি ৬ লাখের বেশি। মোট শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক আছেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।

সহকারী শিক্ষকেরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। এখন সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকেরা। কিছুদিন আগে তাঁরা সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম করার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। তবে সেখান থেকে সরে এসেছেন।

তাঁদের অন্য দুটি দাবি হলো, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া।