সময়ের জনমাধ্যম

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারল বাংলাদেশ

Last Updated on 1 year by zajira news

স্পোর্টস ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: ম্যাচের মোড় ঘুরে বদলালো বারবার। বাংলাদেশের দিকেই ম্যাচ হেলে ছিল বেশি। শুরুতে বোলারদের দাপট। এরপর ব্যাটিংয়ে শুরুতে বিপদে পড়লেও দলকে টেনে তোলেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু শেষ অবধি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলে দিলো ম্যাচের ভাগ্য।

পাকিস্তান-ভারতের মতো নিউইয়র্কের এ ম্যাচটিও জিতেছে আগে ব্যাটিং করা দল।

সোমবার (১০ জুন) নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হারে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

দুই ব্যাটারের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান ও মিলার ৩৮ বলে ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব ৩টি ও তাসকিন নেন ২টি উইকেট।

১১৪ রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে কিছুটা চাপে পড়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ওভারেই ভালো কিছুর বার্তা দেন তানজিদ হাসান তামিম। টানা দুই বলে কাগিসো রাবাদকে বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কিন্তু শেষ বলে গিয়ে আউটও হয়ে যান তানজিদ। রাবাদার বলে শট খেলতে গেলে তার ব্যাট ছুয়ে যায় ডি ককের হাতে। ৯ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ।

এরপর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তাদের ২৫ বলে ২০ রানের জুটি ভেঙে যায় পাওয়ার প্লের ঠিক পরের বলে। ১৩ বলে ৯ রান করে কাভারে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। বল হাতে স্রেফ এক ওভার করা সাকিব আল হাসান বোলিংয়েও ভালো কিছু করতে পারেননি।

তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে সাবধানে ব্যাট করতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ২৯ রানে ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হন লিটন।

এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৪ বলে ৩ ও শান্ত ২৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

তাদের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয়। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ৪৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তারা। তবে দলীয় ৯৪ রানে ৩৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন হৃদয়।

হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দলীয় ১০৭ রানে ৯ বলে ৮ রান করে আউট হন জাকের।

এরপর লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষ ২ বলে জয়ে প্রয়োজন হয় ৬ রান। লং অনে ব্যাট চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে অল্পের জন্য বাউন্ডারি লাইনে মার্করামের হাতে পড়েন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশভ মহারাজ নেন ৩টি উইকেট।