Last Updated on 1 year by zajira news
নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: বর্তমানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ায় মানুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশে একে অপরের প্রতি রেসপেক্ট (সম্মান) কমে গেছে। কারো কথা কেউ মানে না। যে কারণে একে অপরের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছি। এক বাহিনী অন্য বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর। যার ফলে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।’
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। সেই প্রোগ্রামে তাকে একটি গ্রাইন্ডার উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে উপহারটি নিতে চাননি। অনেক রিকোয়েস্টের পর গ্রাইন্ডারটি নিলেও তিনি পরবর্তী দিন সেই কোম্পানিকে চেক পাঠিয়ে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। কোম্পানি তার চেক ভাঙাচ্ছিল না। তখন তিনি তাদের বার্তা পাঠান- চেক না ভাঙালে তিনি উপহারটি ফেরত দেবেন। আবদুল কালাম মনে করেন- সব উপহারের পেছনে কোনো স্বার্থ থাকে। আমাদের বুঝতে হবে নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কী।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার আগে ৫টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। জেল থেকে তার বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন- আমাকে যেহেতু দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমি আর রাজনীতি করব না। এ কথা তিনি কষ্ট পেয়ে বলেছিলেন। বিচারিক কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়ায় পরবর্তীতে হাই কোর্টে তিনি সব মামলায় মুক্তি পেয়েছেন।
অনুষ্ঠানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. হারুন-অর- রশিদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করে আমাকে প্রথম দায়িত্ব দেওয়ায় আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি চিন্তা করেছিলাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বই লিখব।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।