Last Updated on 9 months by zajira news
নিউজ ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জন সদস্য বলে জানা গেছে। তারা হলেন—মো. বেলাল (২৫), মুক্তা (২৬) ও তাদের তিন বছরের শিশু মাইশা। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পল্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা হয়। এছাড়া বাকি দুজন হলেন— রবিউল (১৯ ও রিপন হাওলাদার (৩৮) । নৌ-পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের এসপি গৌতম কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র অফিসার আনোয়ার হোসেন দোলন জানান, সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামে আরেকটি লঞ্চ প্রবেশ করে ভোলাগামী তাসরিফ-৪ লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে যায়। তখন অন্য একটি লঞ্চে যাত্রীরা ওঠার সময় তারা নিচে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পর পাঁচ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তার ভগ্নিপতি জহিরুল ইসলাম জানান, বেলাল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সেখানে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
ঈদের দিন লঞ্চে করে বাড়ি যেতে বেলাল স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সদরঘাটে এসেছিলেন বলে জানান জহিরুল। তিনি বলেন, বেলালের বাবা-মা বেঁচে নেই। স্ত্রী–সন্তানসহ তার মৃত্যুতে ওই পরিবারে আর কেউ রইল না।
নিহত অপর দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের তরুন রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) জয়নাল আবেদীন জানান, নিহতদের লাশ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।