Last Updated on 5 months by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: সুইডেনে বয়স্কদের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী স্টকহোমের ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ওরেব্রো শহরের রিসবার্গস্কা স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওরেব্রোর পুলিশপ্রধান রবের্তো ইদ ফরেস্ট বলেন, হামলাকারী বন্দুকধারী ছিলেন একা এবং প্রাথমিক তদন্তে তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক আমরা পাইনি। আমাদের তদন্ত এগিয়ে চলছে এবং হামলাকারী সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি আমরা।
তিনি বলেন, এটা অনেক বড় একটি সহিংস ঘটনা। কী কারণে হামলাকারী এত বড় একটি সহিংসতা চালাল, তা এখনও অস্পষ্ট। তাই আপাতত আমরা তার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং তার পরিচিতজনদের সন্ধান করছি।
স্কুলের শিক্ষক মারিয়া পেগাডো (৫৪) রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খাবার বিরতির পর যখন তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন, সে সময় আচমকা তার শ্রেণিকক্ষের দরজা খুলে একজন বন্দুকধারী প্রবেশ করে এবং সবাইকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যেতে বলে। সে সময় শ্রেণিকক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সবাইকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে ছুটতে লাগলাম। সে সময় আমাদের লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কারো গায়ে লাগেনি। আমি যখন স্কুলের প্রবেশ দরজার কাছাকাছি গেলাম, তখন বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেলাম এবং বুঝলাম, হামলার মাত্রা বেশ বড় ছিল।
হামলার শিকার শিক্ষাকেন্দ্রটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। যারা সময় মতো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করতে পারেননি, এমন বয়স্ক লোকজনই মূলত এই শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করেন। তবে ওই স্কুলের পাশে শিশুদের স্কুলও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপের মানদণ্ডের হিসেবে সুইডেনে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকের সংখ্যা বেশি। অনেকেই শিকারের উদ্দেশ্যে অনেকেই অস্ত্র কেনেন এবং লাইসেন্স করান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সুইডেনে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকের সংখ্যা অনেক কম হলেও ইউরোপের এ দেশটিতে সম্প্রতি সহিংসতা বাড়ছে।