Last Updated on 12 months by admin
আইটি ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর এই যুগান্তকারী উদ্ভাবনে ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে কর্মসংস্থানের একাধিক সেক্টর। এবার মডেলিং পেশাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে এআই।
ফ্যাশনজগতের মডেলদের চেহারা ও ফিগার কাজ পাওয়ার প্রধান নিয়ামক। তবে এআইয়ের যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে নিখুঁত দেহগড়ন ও চোখ-ধঁভধানো সৌন্দর্যও রুটিরুজির নিশ্চয়তা দিতে পারছে না মডেলদের। ফ্যাশন শোর ভিডিওতে মডেলের চেহারা বদলে দেওয়া হচ্ছে এআই দিয়ে।
এমনই এক ঘটনার ভুক্তভোগী তাইওয়ানি-মার্কিন মডেল শেরিন উ। তার পরা পোশাক ও দেহগড়ন ঠিক রাখা হয়েছে। যার সঙ্গে চেহারা বদলে দেওয়া হয়েছে সেই শ্বেতাঙ্গ নারীকে তিনি কখনো দেখেননি। লিভাইস, লুই ভুঁতো, নাইকি ইত্যাদি নামিদামি ব্র্যান্ড এআই কম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাদের পণ্যগুলো ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ক্রেতাদের মানাবে কি না তা এআইয়ের সাহায্যে বোঝাতে চায় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো। একজন মডেল ঘণ্টায় আয় করেন ৩৫ ডলার। শীর্ষস্থানীয় মডেলদের ক্ষেত্রে তা হাজার ডলার। অন্যদিকে এআই সিস্টেম কাজে লাগাতে মাসে ২৯ ডলার ব্যয় করাই যথেষ্ট।
এর ফলে মডেলদের টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে। মডেলিং পেশা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। গত নভেম্বরে বৈশ্বিক ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম ম্যাককিনসের এক জরিপে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির তিন-চতুর্থাংশ হর্তাকর্তাই এআই কম্পানিকে ২০২৪ সালের প্রধান অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেছেন। এরই মধ্যে মডেলদের নাম, চেহারা কেড়ে নিচ্ছে এআই জেনারেটেড ‘মুখচ্ছবি’।
মডেলদের সংখ্যা কমে গেলে স্টাইলিস্ট, মেকআপ আর্টিস্ট ও কোরিওগ্রাফারদের চাকরির ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে উত্থাপন করা হয়েছে ‘ফ্যাশন ওয়ার্কার অ্যাক্ট’। আইনটি পাসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মডেল অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠন। এ আইনের আওতায় লিখিতভাবে মডেলদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে। তাদের ডিজিটাল রেপ্লিকা তৈরি করা হবে কি না, ডিজিটাল রেপ্লিকা ব্যবহারের উদ্দেশ্য, ব্যবহারের সময়কাল ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সূত্র : ইয়াহু নিউজ