Last Updated on 8 months by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজধ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় সময় বুধবার (পহেলা মে) ক্যাম্পাসগুলোতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লস এঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে কয়েক ডজন পুলিশ রাতভর গাড়ি টহল দেয়। তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। পরে তা আমেরিকার অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ষাটের দশকের শেষের দিকে ভিয়েতনামে আমেরিকার আগ্রাসনবিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের পর সম্ভবত সবচেয়ে বড় ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে এবার।
গত মঙ্গলবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়ার ২২ বছরের শিক্ষার্থী মার্ক টরে বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে এত পুলিশ সদস্য মোতায়েন উচিত হয়নি।’
নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হোসে বলেন, ‘আমাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমাকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে রেখে বেদম পেটানো হয়েছে।’
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে পুলিশের হাতে আটক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী ইসাবেল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি মাথায় গুরুতর আঘাত। কেউ কেউ পুলিশ ক্যাম্পে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। কাউকে সিঁড়ি দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’
গত ছয় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের এ যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিরুদ্ধে এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তা ক্রমশ বিস্তৃত হতে থাকে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।