Last Updated on 8 months by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: কলকাতার নিউ টাউনের আলোচিত সঞ্জীভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের কিছু টুকরা উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, এগুলো ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের অংশ হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সিআইডির উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া গোয়েন্দাদলের সদস্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মো. আব্দুল আহাদ এই তথ্য জানান।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রায় চার কেজি মাংসের টুকরা উদ্ধার করা হয়। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলো এমপি আনারের মরদেহের অংশ কি না তা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে ।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সঞ্জিভা গার্ডেন্সের সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা। সেখানে পলিথিনের ওপর মাংসখণ্ড রাখা হয়েছে। আবাসনের মালী আবর্জনা ঘেঁটে মাংসের টুকরা আলাদা করছেন। সেখানেই কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের লোকজনকে নমুনা সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
কলকাতায় অবস্থানরত ঢাকা ডিবির কর্মকর্তারা সকালে সেখানকার পুলিশকে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তল্লাশির অনুরোধ জানান। পরে কলকাতা পুলিশ ওই ব্যবস্থা করে।
ঢাকার তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আনোয়ারুল খুনের ঘটনায় ঢাকার মামলায় গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে লাশ খণ্ড খণ্ড করার বিষয়টি এসেছে। লাশের মাংসের কিছু অংশ বাথরুমের কমোডে ফ্ল্যাশ করে দেওয়ার কথা জানান আসামিরা। এই বর্ণনা অনুযায়ী ধারণা করা যায়, উদ্ধার হওয়া দেহের খণ্ডিত অংশগুলো আনোয়ারুলের হতে পারে।
এর আগে লাশের সন্ধানে গত বৃহস্পতিবার থেকে লাশের সন্ধানে কলকাতার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ের জিরানগাছা বাগজোলা খালসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। আজও ঢাকার গোয়েন্দা দলের উপস্থিতিতে কলকাতার এ খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে সেখানে লাশের কোনো চিহ্নও পাওয়া যায়নি। যেই অস্ত্র দিয়ে আনোয়ারুলের মরদেহ কাটার কথা বলা হয়েছিল, সেগুলোও উদ্ধার হয়নি।
ঢাকার তদন্তকারীরা জানান, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজন ও ভারতে গ্রেপ্তার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী লাশ পেতে তল্লাশি চালানো হয়। আজ কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গ্রুপের (ডিএমজি) সহায়তায় দেহাংশ খোঁজা হয়। বাগজোলা খালের দুই পাশ থেকে মাছ ধরার জাল ফেলে চলে তল্লাশি অভিযান। খালটি প্রশস্ত হওয়ায় নৌকায় চড়ে জাল ফেলেও খোঁজা হয় লাশ।
ঢাকার ডিবি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। কলকাতা পুলিশের সঙ্গেও আমরা তথ্য বিনিময় করছি। এর মাধ্যমে আশা করছি ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।’