সময়ের জনমাধ্যম

পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকারী হাসপিলের ৪০ বছরের কারাদণ্ড

ফাহিম সালেহ (ডানে) ও আদালতে হাসপিল (বামে) ছবি: সংগৃহীত

Last Updated on 1 year by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন ফাহিম সালেহ । ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারই ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিল। এই অপরাধে তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এই তথ্য জানিয়েছে।

ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, ফাহিম সালেহ’র কাছ থেকে চার লাখ ডলার চুরি এবং অন্যান্য অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

প্রসিকিউটররা জানান, হাসপিল ফাহিম সালেহ’র কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন।

কিন্তু হাসপিল তখনও ফাহিমের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করে যাচ্ছিলেন এবং এটা তার বস জেনে যেতে পারে, এমন ভয় থেকে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল হত্যা করেন ফাহিমকে। এর পরের দিন একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ফাহিমের মরদেহ কাটার এ পর্যায়ে করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি চার্জার কিনতে বাইরে যান। এর মধ্যে ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান।

এ ঘটনার কয়েকদিন পর হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

Reendex

Must see news