Last Updated on 4 days by zajira news
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু-ই সবার আগে তাকে টুইটে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রত্যাবর্তন’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও দ্বিতীয় মেয়াদে কিছুটা মনোমালিন্য হতে পারে। সম্প্রতি এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এছাড়াও ব্রিটেনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনেও একই কথা বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিগত শাসনামলের প্রথম মেয়াদে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল নেতানিয়াহুর সঙ্গে। সে সময় ইরানের পরমাণু চুক্তি বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। এছাড়াও ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং তেল আবিব ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিলেন।
এসব কারণে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে অভিহিত করেছিলেন নেতানিয়াহু। তার দ্বিতীয় মেয়াদেও ট্রাম্পের থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আশা করছেন।
সম্প্রতি এ নিয়ে বিবিসি’র একটি প্রতিবেদন বলা হয়, নেতানিয়াহু যা চান সবকিছু ট্রাম্প দেবেন কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এতে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের কিছু নীতির কারণে ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সংঘাতে রূপ নিতে পারে। বিশেষ করে অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি দখল ও উচ্ছেদকে ট্রাম্প সমর্থন করবেন না। যা নেতানিয়াহু সরকারের আসল এজেন্ডা।
এছাড়া এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় যুদ্ধের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এমনকি ইসরায়েলকে গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিধ্বস্ত নাগরিকরা ট্রাম্পের থেকে শান্তি আশা করছেন। ফিলিস্তিনিরা নতুন ধরনের মার্কিন প্রেসিডেন্ট চান, যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংঘাত বন্ধের উপায় বের করবেন। তবে কেউ কেউ আবার যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন।