Last Updated on 7 months by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: রাজধানীর বাজারগুলোতে শোভা পাচ্ছে মৌসুমের বিভিন্ন সবজি, শীত জেঁকে বসার আগেই। বাজার ঘুরে সরবরাহও খারাপ দেখা যায়নি।
কিন্তু শীতের সবজি হাতের নাগালে পেয়েও দামের কারণে অনেকেই পিছিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজির দামও বেড়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী এবং নিকেতন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, শিমের মতো মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়লেও তেমন কমেনি সবজির দাম ।
শিম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, আকার ভেদে ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, মুলা ৬০, শালগম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিকেতন কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, “শীতের সবজি তো মাত্র আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক যেতে দেন। এরপর দাম কমতে শুরু করবে। এবার বন্যায় প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দাম কিছুটা বেশি। এখন আবার আরেক দফায় চাষ হচ্ছে। সেগুলো বাজারে এলেই দাম কমতে শুরু করবে।”
শীতকালীন সবজির সরবরাহে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম প্রায় স্থিতিশীল থাকলেও কয়েকটির দাম আবার গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুরমুখী কেজি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, লাউ আকার-আকৃতি ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, পেঁপে ৩০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী কাঁচাবাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা সেলিম বলেন, “বাজারে সবজির দাম কমতেছে না। গত সপ্তাহে যেগুলো বিক্রি করেছি, সেসবের কিছু-কিছু কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি করে বিক্রি করতে হইতছে। আমরা পাইকারি বেশি কিনি, তাই বিক্রিও করি বেশি। কেন দাম বাড়তি জানি না।”
বাজারে প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলা ৫০ টাকা, ধনে পাতা কিছুটা কমে ১৫০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, চাল কুমড়া আকৃতিভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শাকের মধ্যে লাল শাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৫০ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, ডাঁটা শাক ২৫-৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়, নতুন আদা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, জিরা ৯০০ টাকা, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি কালাম হোসেন বলেন, “অন্যান্য মশলাপাতির দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের থেকে কমেছে। মূলত পাকিস্তানি পেঁয়াজ আমদানির খবরে কিছুটা দাম কমেছে।”
আর, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনিকেট চাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও নাজিরশাইল চাল প্রকারভেদে ৭৫ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।