Last Updated on 3 months by zajira news
অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশে বিভিন্ন স্থানে আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নোয়াখালীতে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি অসংখ্য মৎস্য খামারে ভেসে গেছে মাছ। জেলার বেগমগঞ্জ অনন্তপুরে ৯০ একর বিশিষ্ট আরএমএ মৎস্য খামারে গতকাল দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে পানিতে ভেসে গেছে খামারটি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন খামারের মালিক।
একটানা প্রবল বর্ষণের ফলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে একটি সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মহাবিপাকে পড়েছেন মানিকগঞ্জের নিম্নআয়ের মানুষ। একটু বৃষ্টি হলেই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পানি জমে একাকার হয়ে যায়। এর মধ্যেই লোকজন প্রয়োজনের তাগিদে পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছেন।
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ২১টি স্থানে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। গত বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ছাগলনাইয়ার মাটিয়াগোধা, দক্ষিণ সতেরো, উত্তর সতেরো, লক্ষ্মীপুর, নিচিন্তা ও কাশিপুরসহ ১০টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। রাস্তাঘাট ডুবে বন্ধ হয়েছে যান চলাচল। বিপাকে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। দুই উপজেলার কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলার ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ হাজার। পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার বলেন, এ উপজেলায় ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।