Last Updated on 4 weeks by zajira news
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি, জাজিরা নিউজ: মালয়েশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ৩৫ হাজার ২৬৮ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বায়াজুদুল ইসলাম নিশান (৩১) নামের এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কোম্পানির পরিচালক আজাইদি বিন আবদুল আজিজ এই অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে নিশানকে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। যোগাযোগ করতে একটি নম্বরও দিয়েছেন তিনি। নম্বরটি হলো +60 10-288 3401।
অভিযুক্ত বায়াজুদুল ইসলাম নিশান লক্ষীপুর জেলা সদরের দালাল বাজারের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে।
কোম্পানির পরিচালক জানান, চলতি মাসের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বায়াজুদুল ইসলাম নিশান কাজে অনুপস্থিত। তিনি অনুপস্থিত থাকায় অফিস কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের ডরমিটরিতে গিয়ে তার রুম পরিদর্শন করে। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, তার অনুপুস্থিতি সন্দেহজনক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ৪৮ জন গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকরা জানান, কোম্পানির প্রতিনিধি বায়জুদুল ইসলাম নিশানকে সরবরাহকৃত পণ্যের মূল্য সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির হিসেবে, এতে তাদের ৩৫ হাজার ২৬৮ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বায়াজুদুল ইসলাম নিশান গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন।
একই সাথে ঘটনার সকল তথ্য-প্রমাণসহ মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আজাইদি বিন আবদুল আজিজ বলেছেন, এই ঘটনার যথাযথ বিচার এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা। মালয়শিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী অহিদুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়া শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশির বসবাস। এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা থাকায় সবাই কাজের জন্য আসে। কিন্তু যদি কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে শুধু ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির সম্মুখীন হন না, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও সংকটে পড়ে, যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।