সময়ের জনমাধ্যম

মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন মালয়েশিয়ার ৪ প্রবাসী বাংলাদেশী

Last Updated on 1 week by zajira news

অনলাইন ডেস্ক, জাজিরা নিউজ: এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত হিউম্যান হারমোনি কনফারেন্সে মানবসম্প্রীতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখায় মালদ্বীপে ‘হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন মালয়েশিয়া ৪ প্রবাসী বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি। সামিটের এবারের আসরে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের মোট ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানী মালের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়ামে মানবসম্প্রতি সম্মেলন ও অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির পরিচিত মুখ এই দুই সাংবাদিক হলেন- এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কায়সার হামিদ হান্নান এবং ডিবিসি ও কালেরকণ্ঠের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলীও সিআইপি সাহাবুদ্দিন, এমডি গ্লোবাল রিসোর্স এসডিএন বিএইচডি এর পরিচালক মোঃ মোশাররাফ হোসাইনও মালয়েশিয়া মিস স্টার্স ইউনিভার্স এর মুকুট বিজয়ী ও বাংলাদেশের মডেল অনন্যা আফরিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের মৎস্য ও মহাসাগর সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুথালিব। আড়ম্বড়পূর্ণ এ অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মালদ্বীপের মন্ত্রী মানবসম্প্রীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন শিল্প ও বাণিজ্যিক শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ সাঈদ মুস্তাফা, নেপালের পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশনের সাবেক মন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল, মালদ্বীপের ক্রীড়া, ফিটনেস ও বিনোদন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হুসেইন নিহাদ, ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল জালিল ইসমাইল।

আড়ম্বড়পূর্ণ এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু। এসময় তিনি বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মানবসম্প্রীতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহজ ভিসা নীতি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

মানবসম্প্রীতি জোরদার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীতকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য খাতে অংশীদারিত্ব জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য দেন উপস্থিত অতিথিরা।

পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশিরা বলেন, এশিয়ার এ মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা বাংলাদেশি হিসেবে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। যার মাধ্যমে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে সকলের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এ শিল্পে আমাদের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আসা তাদের।